বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেনাপোলে ৫০০ দিলে ৫ মিনিটে, নয়তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা

  •    
  • ১ মে, ২০২২ ২১:৫০

বাংলাদেশ অংশ পাড়ি দিয়ে ভারতের অংশে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনেও হয়রানিতে পড়ছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। ওই ইমিগ্রেশনে বর্তমানে ৪০টি ডেস্ক থাকলেও অফিসার আছেন মাত্র ৩ জন। ওই অফিসাররা আড়াই হাজার যাত্রীর ইমিগ্রেশন সিল মারতে সময় নিচ্ছেন ১৬/১৭ ঘণ্টা।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরাপারে করোনা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুই দেশই। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকেই যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারতে গমণেচ্ছুক মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তাদের কেউ বেড়াতে যাচ্ছেন, কেউ চিকিৎসক দেখাতে আবার কেউ যাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।

তবে, এমন ভিড় থেকে সুবিধা আদায় করতে বন্দরটিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে একটি অসাধু চক্র। টাকার বিনিময়ে তারা কারও কাজ পাঁচ মিনিটে করে দিচ্ছে, আবার কেউ টাকা না দিলে তাকে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, করোনার আগে আন্তর্জাতিক এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে আড়াই হাজার যাত্রী ভারতে যেতেন। ২০২০ সালে মার্চ মাসে মহামারি তীব্র আকার ধারণ করলে দুই পারের চেকপোস্ট বন্ধ হয়ে যায়।

গত মাসে করোনার সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ টুরিস্ট ভিসা চালু করায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার ব্যাপক হারে বেড়েছে। বর্তমানে এই চেকপোস্ট দিয়ে আগের মতোই যাত্রী চলাচল শুরু হয়েছে।

গত এক সপ্তাহে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ হাজার ৩০০ জন যাত্রী ভারতে গেছেন। আর ভারত থেকে এসেছেন ৭ হাজার ২৫৭ জন। ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভিড় বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন এক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা।

এমন ভিড়ে যাত্রীরা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। একজন পাসপোর্টধারী যাত্রীকে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পৌঁছাতে বাংলাদেশ অংশে অন্তত ৮টি স্থানে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।

এভাবে সোনালী ব্যাংক শুরু করে ইমিগ্রেশন চেক আউট গেট অর্থাৎ নো ম্যান্স ল্যান্ড পর্যন্ত একজন যাত্রীকে পৌঁছাতে অন্তত ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগছে।

তবে মাথা পিছু ৫০০ টাকা দিলে সেই স্থানে মাত্র ৫ মিনিটেই পৌঁছানো যাচ্ছে। আর এসব কাজ করছেন বন্দরে কর্মরত আনসার, লেবার ও কয়েকজন নারী ক্লিনার। যাত্রীরা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে উঠছেন, লেবার ও নারী ক্লিনাররা তখন কিছু যাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়ে আনসার সদস্যদের কাছে দিচ্ছেন। আনসাররা তখন গেট খুলে টাকা দেয়া যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের ভেতরে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন।

এদিকে ভারতগামী যাত্রীদের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় গিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিটি পর পর ৭/৮ জন যাত্রী ভারতে ঢুকে ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রবেশ করছেন। সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগ প্রত্যেক যাত্রীকে করোনার পিসিআর টেস্ট করছে। এতে সময় লাগে আরও ৪০ মিনিটি।

এরপর ভারতের অংশে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনেও হয়রানিতে পড়ছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। ওই ইমিগ্রেশনে বর্তমানে ৪০টি ডেস্ক থাকলেও অফিসার আছেন মাত্র ৩ জন। ওই অফিসাররা আড়াই হাজার যাত্রীর ইমিগ্রেশন সিল মারতে সময় নিচ্ছেন ১৬/১৭ ঘণ্টা।

এ অবস্থায় রোদ, বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে, ছোট বাচ্চা ও রোগীদের নিয়ে মহা বিপাকে পড়ছেন তারা।

বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের ইমিগ্রেশনে যাত্রী আসলে তেমন সময় লাগছে না। ওপারে স্বাস্থ্য বিভাগে অনেক সময় লাগায় বাংলাদেশী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর