বরিশালে লঞ্চ থেকে এক যাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।আল আমিন নামে ওই ব্যক্তিকে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
তার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া এলাকায়। বিয়ে করেন বরিশালে। তবে কর্মস্থল ময়মনসিংহে। সেখানে আরিফ নামে একটি কোম্পানিতে প্রকৌশলী পদে কর্মরত।
আল আমিনের স্ত্রী কামরুন্নাহার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা এসে বরিশালের লঞ্চে ওঠে সে। সর্বশেষ রাত ১০টায় লঞ্চ থেকেই কথা হয় তার সঙ্গে। এর পর থেকেই যোগাযোগ ছিল না। শনিবার আমি থানায় জিডি করার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম।
‘এরপর রাত ৯টার দিকে এক যাত্রী আমাকে ফোন করে জানায়, সে (আল আমিন) লঞ্চে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে আমি আমার ভাইদের লঞ্চঘাট যেতে বলি। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই রাত ১২টার দিকে মানামী লঞ্চ থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন ঘাটে থাকা মেয়রের লোকজন।’
কামরুন্নাহারে দাবি, তার স্বামীর সঙ্গে দুটি ফোন, নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও নতুন জামাকাপড় ছিল। এর মধ্যে একটি কম দামি ফোন ছাড়া সব খোয়া গেছে। ওই ফোন থেকে নাম্বার নিয়ে ওই যাত্রী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার শামসুদ্দোহা তৌহিদ বলেন, ‘অচেতন অবস্থায় ওই রোগী ভর্তি হয়েছে। তার জ্ঞান ফেরেনি এখনও। চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসায় দেরি হলে তার অনেক বড় সমস্যা হতে পারত।’
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার রাতে এক যাত্রীকে মানামী লঞ্চ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একটা লঞ্চে একজন যাত্রী তিন রাত ও দুই দিন অচেতন ছিল, আর সেটা লঞ্চের স্টাফরা খেয়াল করেনি, এটা হতে পারে না। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে এ বিষয়ে মানামী লঞ্চের বরিশাল অফিস ম্যানেজার রেজোয়ান হোসেন লিপন বলেন, ‘আমরা এ বিষয় জানি না।’