বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মে দিবসের র‍্যালিতে গেঞ্জি নিয়ে অসন্তোষ

  •    
  • ১ মে, ২০২২ ১৫:২৬

চাতাল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, ‘আমার সংগঠনের ৩০ জনের কেউই গেঞ্জি-ক্যাপ পায় নি। তাই আমরা র‌্যালিতে যাইনি।’

কুষ্টিয়ায় আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের আয়োজনে মে দিবসের শোভাযাত্রা হয়েছে। তবে, গেঞ্জি না পাওয়ায় অনেক শ্রমিকই এতে যোগ দেননি। তারা আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর কার্যালয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

রোববার সকাল ৯টার পরে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের সিংগার মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম। যোগ দেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শ্রমিক সংগঠনগুলো আলাদা আলাদা ব্যানার প্রদর্শন করে।

শোভাযাত্রা শুরুর আগে বিআরবি কেবলসের সৌজন্যে শ্রমিকদের মধ্যে গেঞ্জি ও ক্যাপ বিতরণ করা হয়। তবে শোভাযাত্রা বের হওয়ার পর দেখা যায় অন্তত দেড় শ’ শ্রমিক তাতে যোগ দেননি। তারা কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে শ্রম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

চাতাল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, ‘আমার সংগঠনের ৩০ জনের কেউই গেঞ্জি-ক্যাপ পায় নি। তাই আমরা র‌্যালিতে যাইনি।’

শ্রমিক আলেয়া খাতুন বলেন, ‘৬ জন মেয়ে শ্রমিক একসঙ্গে আসলাম। গেঞ্জি-ক্যাপ কোনটি পাইনি। কাজ বাদ রেখে আসছিলাম। এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি।’

আরেক চাতাল শ্রমিক রোসনাই বলেন, ‘আমরা খুবই গরিব মানুষ। মে দিবস কী জানি না। আসছিলাম মজা করে র‌্যালি করব। কিছুই পেলাম না, এখন বাড়ি যাওয়ার ভাড়াই নেই।‘

কিয়াম মেটালের শ্রমিক আলামিন ইসলাম বলেন, ‘দায়িত্ব নিয়ে অনেক শ্রমিক নিয়ে আসলাম। আমদের অবহেলা করা হয়েছে। পোশাক দিয়েছে র‌্যালির জন্য। কিন্তু শ্রম কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার কারণে আমরা পাইনি। র‌্যালিতে গেঞ্জিছাড়া কীভাবে যাব, তাই যাইনি।

কুষ্টিয়ায় আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক মো. জহিরুল হোসেন বলেন, বিজ্ঞাপন হিসেবে ৪০০ গেঞ্জি পেয়েছিলাম। তা শ্রমিকদের মধ্যে দেয়া হয়। অংশগ্রহণকারীর সংখ্য বেশি হওয়ায় কিছু মানুষ পাননি। গেঞ্জির জন্য শোভাযাত্রায় না যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কুষ্টিয়ার ৬ রাস্তার মোড়ে প্রতিদিন সকালে হাটে ওঠা শ্রমিকদের অনেকেই কাজ পান না এ ব্যাপারে কিছু করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন- এসব শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়া হবে। পরে অ্যাপ তৈরি করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে। দেয়া যাবে সরকারি সহায়তাও।

এ বিভাগের আরো খবর