ঈদুল ফিতরে জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য, সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।
‘গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনো নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।’
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে রোববার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশজুড়ে র্যাব বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান সংস্থাটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত টহল ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও র্যাব বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতরে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করেছে।
‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র্যাবের কন্ট্রোল রুম থাকবে। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল প্যাট্রল, ভেহিকল স্ক্যানার, অবজারভেশন পোস্ট, চেকপোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহে পর্যাপ্ত ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে টহল থাকবে। পাশাপাশি র্যাবের স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হবে। জাতীয় ঈদগাহ ডগ স্কোয়াড ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কর্তৃক নিরাপত্তা সুইপিং করা হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত রিজার্ভ মোতায়েন থাকবে।
‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো নাশকতা/হামলা মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত থাকবে র্যাবের এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার।’
সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে বলে জানান র্যাবপ্রধান। বলেন, ‘সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোয় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ থাকবে।
‘র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের (কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বর- ০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে। নাশকতাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্তসংখ্যক টহল মোতায়েন ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।’