বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রখর রোদে ক্লান্ত যাত্রীরা

  •    
  • ১ মে, ২০২২ ১৪:১০

সাইদুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের সময় গ্রামের বাড়ি একা গেলে ভোগান্তিও কষ্ট মনে হয় না, কিন্তু ছোট বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় বের হলে বোঝা যায় পথে পথে কত দুর্ভোগ।’

ঈদ করতে দাদার বাড়ি নোয়াখালী যাবে দেড় বছরের মাহাদি। তাকে কোলে নিয়ে প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বাবা সাইদুল ইসলাম। কিছুক্ষণ পরপর বাচ্চার ঘাম মুছে দিচ্ছিলন তিনি। রাস্তার ধারে রাখা ব্যাগের ওপর বসে আছে তার ৭ বছর বয়সী ছেলে শাহারিয়ার স্বপ্নীল, পাশে দাঁড়িয়ে শিশুদের মা। স্বপ্নীল বারবার মাকে জিজ্ঞেস করছে, বাস কখন আসবে।

নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় রোববার সকালে বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলল এই পরিবারটির।

সাইদুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের সময় গ্রামের বাড়ি একা গেলে ভোগান্তিও কষ্ট মনে হয় না, কিন্তু ছোট বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় বের হলে বোঝা যায় পথে পথে কত দুর্ভোগ।

‘বাস না আসায় টিকিটও কাটা হয়নি। কখন আসবে তাও জানা নেই। আসলে টিকিট কাটব, তারপর বাড়ির পথে যাওয়া। আবার রাস্তায় যানজট হলে তো অনেক রাত হয়ে যাবে ফিরতে। সেখানেও আবার ভোগান্তিতে পড়তে হবে।’

সাইদুলের মতো অনেক যাত্রীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মহাসড়কের দুই পাশে কেউ দাঁড়িয়ে কেউ বসে ছিলেন। দুই পাশেই হাজারও মানুষ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপও এই দুই মহাসড়কে বেড়েছে। তবে যানজট নেই কোথাও।

সাইনবোর্ড এলাকায় যাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ যাব। ভেবেছিলাম মানুষ মনে হয় কমেছে, কিন্তু তা হয়নি। যে হারে মানুষ, তাতে গাড়ির তো সংকট হবেই। আর ভাড়া বেশি নেবে তাও স্বাভাবিক। তবুও আমরা ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি ফিরতে চাই।

‘রাজধানীর একটি দোকানে চাকরি করি। মালিকের কাছ থেকে এক দিন আগেই ছুটি নিয়েছি বাড়ি যেতে। তাও রাস্তার অবস্থা ভালো পেলাম না। গাড়িতে ওঠা কঠিন হয়ে গেছে। পুরুষরা তো ধাক্কাধাক্কি করে উঠতে পারছে, নারীরা তো তা পারে না। এ জন্য অপেক্ষা ছাড়া গতি নাই।’

শিমরাইলে পোশাক কারখানার শ্রমিক মর্জিনা বেগম বলেন, ‘নরসিংদী যামু, পুলা-মাইয়া আর মালপত্র নিয়া এখানে আইছি। যেই রইদ (রোদ), ভাই রোজা রাইখা জীবনডা বাইরইয়া যাইতাছে। দেড় ঘণ্টা ধইরা দাঁড়ায় আসছি, কিন্তু বাসে উঠতে পারতাছি না। সিরিয়ালের টিকিট নাম্বার ওহনো আহে নাই।’

চাষাঢ়া এলাকা থেকে ট্রাকে করে ময়মনসিংহের দিকে যেতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের মধ্যে রুপিয়া বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘বাসাবাড়িতে কাম করি। বাসে গেলে ভাড়া বেশি আবার মালপত্র নিয়া রাস্তায় ঝামেলা হয়। এ জন্য আমাগো গ্রামের যারা শহরে থাকে সবাই মিলে একটা ট্রাক ভাড়া নিয়া যাইতাছি।’

ট্রাকে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তাতে চড়েছেন তিনি। বলেন, ‘কিছু করার নাই বাড়ি যাইতে হইব, গ্রামে ছেলেমেয়েরা আছে। সব জাইন্নাই উঠছি। সবার যা গতি হইব আমারও তা-ই হইব।’

হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক কে এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ ভোর থেকে দুটি সড়কে প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলাচল করছে। অনেক যান রাজধানী হয়ে বিভিন্ন পথে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি বিগত কয়েক দিনের মতো যানজটমুক্ত সড়ক রাখতে। এ জন্য মহাসড়কের সব জায়গায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর