ঈদের ছুটিতে বাড়ি বা অন্য কোথাও গেলে রাজধানীবাসীদের তাদের মূল্যবান সম্পদ নিজেদেরই রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
রোববার সকালে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে এ পরামর্শ দেন তিনি।
সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণত যে বিষয়গুলো বলে থাকি সেগুলো যদি মানুষ মেনে চলে, তাহলে তার জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়। যে যেখানেই যান, আপনার মূল্যবান সম্পদের হেফাজত নিজ থেকে করবেন।’
ঢাকার মতো বড় শহরে দু-একটি ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এত বড় একটি শহরে দু-একটি ঘটনা ঘটবে। এগুলো প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও নেই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশের পাশাপাশি মানুষের দায়িত্ব রয়েছে।
‘আপনার জীবন এবং সম্পদের প্রাথমিক রক্ষার দায়িত্ব আপনার। এরপর আসে রাষ্ট্রের কাছে। ট্রেন লাইনের ওপর যদি আপনি শুয়ে থাকেন আর ভাবেন পুলিশ এসে রক্ষা করবে, এটা কোনো বুদ্ধির কাজ না। এর মধ্যে কেউ যদি আক্রান্ত হন সেগুলো আমরা নিশ্চয়ই দেখব।’
উন্নত দেশের উদাহরণ টেনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা বিশ্বে লকার সিস্টেম রয়েছে। বাংলাদেশের পুলিশ আমরা তো অত দক্ষ না। উন্নত বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ কেন লকারে মূল্যবান সম্পদ রাখে; কারণ একটাই, এটা সুরক্ষা করার দায়িত্ব তার। আসরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি, যেখানে যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, মামলা নিচ্ছি, সে অনুযায়ী গ্রেপ্তার করছি।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই থানা ও ডিবিতে তালিকা করে কাজ করা হচ্ছে। গত এক মাসে পাঁচ শতাধিক তালিকাভুক্ত চোর ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।’
চুরি-ছিনতাই রোধে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে এই সময় রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানাতেই আমরা অতিরিক্ত ফোর্স দিয়েছি।
‘শহরে প্রতিরাত্রে আড়াই হাজার অতিরিক্ত ফোর্স ডিউটি করবে। প্রতি থানা থেকে দশটি করে মোবাইল টিম বের হবে। এভাবে ৫০টি থানায় ৫০০টি টিম থাকবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ক্রিমিনালদের চলাচলে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় সে জন্য আমাদের চেকপোস্ট থাকবে। ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, কন্ট্রোল রুম থেকে সেগুলো মনিটর করা হবে।’