দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর দুই বছরে নানা বিধিনিষেধের মধ্যে অনেকেই ঈদ করেছেন রাজধানীতে। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার বিপুলসংখ্যক মানুষ বাড়ি যাওয়ায় যাত্রাপথে দুর্ভোগের আশঙ্কা ছিল বিভিন্ন মহলে, তবে গত কয়েক দিন সে আশঙ্কার প্রতিফলন দেখা যায়নি রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে।
রোববার গাবতলী টার্মিনাল ও কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা পর্যন্ত একটা চাপ ছিল, তবে ৮টার পর থেকে ভিড় কমতে থাকে। অনেক কাউন্টারে টিকিট ডেকে ডেকে বিক্রি করা হয়।
এবার ঈদের লম্বা ছুটির শুরু থেকেই রাজধানী ছাড়া শুরু করেন লোকজন। অনেকে ভিড়ের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। গাবতলী টার্মিনালে ভিড় তাই স্বাভাবিক সময়ের মতোই।
বিআরটিসির গাবতলী ডিপোর ইউনিট প্রধান ফয়সাল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বিআরটিসি বাসের অভাব নাই। চাইলেই আমরা বাস দিতে পারছি। মহামারির আগের তুলনায় এখন যাত্রী নাই বললেই চলে।’
হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা মো. জুয়েল বলেন, ‘সকাল ৮টা পর্যন্ত যাত্রীর কিছুটা চাপ থাকলেও আস্তে আস্তে তা কমে গেছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় গাবতলীতে আজকে কিছুটা বেশি যাত্রী ছিল, তবে এসব যাত্রীর বেশির ভাগই আগে থেকেই অগ্রিম টিকিট কেটেছেন।’
রংপুরের যাত্রী সিয়াম সরদার বলেন, ‘আগে বিআরটিসি কাউন্টারে আসলে ভিড়ে টিকিট পেতে কষ্ট হয়ে যেত। এখন তারা ডেকে ডেকে টিকিট বিক্রি করছেন। যাত্রীর চাপও তেমন নাই এখন।’
খুলনার যাত্রী কামাল মিয়া বলেন, ‘আগে থেকেই টিকিট কেটে রেখেছিলাম। টার্মিনালেও তেমন ভিড় নাই। সকাল ৭টায় টার্মিনালে এসেছি। তখন কিছুটা ভিড় ছিল।
‘এখন আস্তে আস্তে কমে গেছে। ঢাকায় তো তেমন ভিড় দেখলাম না। এখন রাস্তায় ভালোমতো যেতে পারলে হয়।’
গাবতলী টার্মিনালে র্যাবের একটি, পুলিশের একটি ও ট্রাফিক পুলিশের একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এ তিনটি বুথ থেকেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
পুলিশ বুথের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টায় আমি আসছি। সকালে কিছুটা যাত্রীর চাপ দেখেছি। আস্তে আস্তে সেটা কমে যাচ্ছে। আরও কমবে।
‘জায়গায় জায়গায় আমাদের পুলিশ টহলে আছে। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে। ঢাকায় সুন্দরমতো বাস ঢুকছে ও বের হচ্ছে।’