প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবারের ঈদুল ফিতর সিলেটে করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আবুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় সিলেট আসতে চেয়েছিলেন মুহিত ভাই। আমাকে বলেছিলেন তাকে নিয়ে আসতে।’
শনিবার রাতে সিলেট নগরের ধোপাদিঘির পাড় এলাকার নিজ বাসা হাফিজ কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে যখন এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার রাত ১০টায় সিলেটের নিজ বাসায় এসে পৌঁছায় মুহিতের মরদেহ।
সর্বশেষ যখন সিলেট এসেছিলেন, ফিরে যাওয়ার সময় ১৮ মার্চ তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আবার সিলেট আসব। সবার সঙ্গে আবার দেখা হবে। কথা হবে।’
আর গণমাধ্যমে দেয়া সর্বশেষ সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘সিলেট আমার প্রিয় শহর। এখানে এলে শান্তি লাগে।’
শুক্রবার রাত ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
মুহিতের মরদেহ সিলেটে আসার আগেই তার বাসায় ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এসেছেন।
মুহিতের মরদেহ দেখতে আসা মানুষজনের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে।
হাফিজ কমপ্লেক্সে মুহিতকে মরদেহ দেখতে আসা সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, ‘সিলেট তথা বাংলাদেশ তার এক রত্মকে হারালো। আর আমরা হারালাম একজন অভিভাবকে। এমন নিরঅহঙ্কার, সৎ ও পণ্ডিত মানুষের অভাব আমরা সকলে অনুভব করবে।’
আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছেলে সাহেদ মুহিত বলেন, ‘শেষের দিকে বাবা সিলেটে আসার জন্য উতলা হয়ে উঠেছিলেন। মে মাসেই সিলেট আসতে চেয়েছিলেন তিনি। সিলেটের মানুষজনকে দেখতে চেয়েছিলেন। সত্যি সত্যিই মেয়ে মাসে তিনি এলেন। তবে তাকে দেখতে যে এত মানুষ ভিড় করেছেন, তা তিনি আর দেখতে পেলেন না।’
মুহিতের অনুজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাতে বাসায় রাখা হবে মরদেহ। রোববার বেলা ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে এক ঘণ্টা রাখা হবে।
‘জোহরের নামাজের পর আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে তার জানাজা। এরপর রায়নগরে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করে হবে এই ভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামীকে।’