বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতে উঠে গেল মেঘনায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা

  •    
  • ১ মে, ২০২২ ০০:২০

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে এবার জেলা-উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ সমন্বিত টাস্কফোর্স গঠন করে নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল।

নিষেধাজ্ঞার ২ মাস পর শনিবার মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরেই নদীতে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। তাই জাল ও নৌকাসহ মাছঘাটগুলোতে তাদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

এবারের নিষেধাজ্ঞা মৌসুমকে সফল দাবি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার মাছের উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্রিকটন। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মেট্রিকটন বেশি।’

জেলা মৎস্য অফিসের বরাতে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল পর্যন্ত নদীর ১০০ কিলোমিটারজুড়ে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মৎস্য বিভাগ।

এ সময় যে কোনো ধরনের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞার দুই মাস এবং পরের দুই মাস সহ মোট চার মাস ওই অঞ্চলের প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি হারে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে এই চাল বিতরণে অনেক অনিয়মের অভিযোগও পাওয়া গেছে। জেলেদের অনেকেই দাবি করেছেন, তালিকায় নাম থাকার পরও তারা সরকারি বরাদ্দ চাল পাননি।

লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছেন। তাদের সবাই মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে সামনে রেখে কয়েকদিন ধরেই মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা

মতিরহাট ঘাটের লিটন ও মজু চৌধুরীর হাটে মিন্টু জানান, প্রতিবছরই নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে এবারের অভিযান সফল হয়েছে। তবে জেলেদের নামে বরাদ্দ চাল জনপ্রতিনিধিরা আত্মসাৎ করেছেন বলেও দাবি করেন তারা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, গত দুই মাসের অভিযানে বেশ কয়েকজন জেলেকে জেল জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ সমন্বিত টাস্কফোর্স গঠন করে নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল।

অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়ার ক্ষেত্রে তিনিও আশাবাদী। এ ছাড়া জেলেরা যেন বরাদ্দ চাল সঠিকভাবে পায় তা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম হলে সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে, জানান ডিসি।

এ বিভাগের আরো খবর