সরকারি এই সংস্থার বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নৌপথে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত রয়েছে। এ অবস্থায় কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরবর্তি নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই রুটের যাত্রীদের ফেরিতে পারাপারের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।মাইকিংয়ের ঘোষণা শুনে ঘরমুখো যাত্রীদের ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
নারায়ণগঞ্জের রহিমা আক্তার বলেন, ‘মাওয়ায় আইসি বাড়িতে যামু বরগুনা। গার্মেন্টসে কাজ করি। মুন্সিগঞ্জ হইয়া মাওয়া ঘাটে আসছি আমরা প্রায় দশ বারোজন একসাথে লঞ্চে পরে যামু। আমি কিভাবে যাবো বুঝতে পারছি না ওই পার গেলে একটা ব্যবস্থা হইবো জানি। হাজার হাজার মানুষ ঠেলাঠেলি করে যাওয়া যায়, সাথে আবার ব্যাগ আছে।’
ইউনুস আলী বলেন, ‘লঞ্চে যেতে পারলে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারতাম। প্রথম ফেরি মিস করছি এখন তো সময় যত বাড়ছে মানুষ তো বাড়ছে।’
বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, সন্ধ্যায় বিআইডব্লিটিএ কালবৈশাখী ঝড়ের শঙ্কায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। যার জন্য ফেরিতে যাত্রী পারাপারের চাপ বাড়ে। ফেরি ক্যামেলিয়া, কুঞ্জলতা (টানা ফেরি) রানীগঞ্জের যাত্রী বোঝাই করে পদ্মা পারি দিয়েছে। এখনো ঘাট এলাকায় শত শত যাত্রীর রয়েছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।