বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে: ফখরুল

  •    
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:২৮

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে। তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল কিছুক্ষণ আগে। তিনি বললেন, তার (ইলিয়াস আলী) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সেটা তারা হ্যান্ডেল করতে পারছেন না। তার গাড়িরও ট্যাক্স তারা দিতে পারছেন না। এই বিষয়গুলো তার পরিবারের কাছে একটা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর পরিবার এখন ‘অনেক বিপদে’ দিন যাপন করছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ইলিয়াস আলীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বিএনপি মহাসচিব এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে। তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল কিছুক্ষণ আগে। তিনি বললেন, তার (ইলিয়াস আলী) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সেটা তারা হ্যান্ডেল করতে পারছেন না। তার গাড়িরও ট্যাক্স তারা দিতে পারছেন না।

‘এই বিষয়গুলো তার পরিবারের কাছে একটা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মেয়ের ভর্তি নিয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে তাদের পড়তে হয়েছে। সব কলেজ মেয়েকে ভর্তি করছিল না। পরে অনেক চেষ্টা করে তার মেয়েকে ভর্তি করানো হয়েছে।’

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস। তাকে সরকার গুম করেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি।

দুপুর ১২টায় মির্জা ফখরুল দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নিয়ে বনানীতে ইলিয়াস আলীর বাসায় যান। তিনি সেখানে ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনার সঙ্গে কথা বলেন। এই সময়ে সিলেট জেলা সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী ও দলটির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা গুম হওয়া পরিবারগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি তাদের কাছে। বিভিন্ন জেলায় যারা ভিকটিম আছেন তাদের জেলা পর্যায়ের নেতারা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছেন।’

‘জবাবদিহি না আসলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না’মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সম্প্রতি দুজন ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। এটা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চার মাস পর। এটার কারণটা হচ্ছে, আমি যেটা মনে করি, র‌্যাবের যে চরিত্র তারা তৈরি করে দিয়েছে সেখানে সমস্যা সমাধান বলতে সেটাকেই মনে করে। একইভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা কাজ করছে এবং করে যাবে।

‘যতক্ষণ পর্যন্ত তারা (সরকার) ব্যবস্থা না নেবে- যাদের দায়ী করা হয়েছে, যারা ওই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। তার জন্য স্বাভাবিকভাবে এসব (বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) হবে। এর একমাত্র কারণ এখানে কোনো জবাবদিহি নেই। আমরা বারবার বলেছি যে, সরকারের বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি নেই।’

‘ইলিয়াস আলীর সন্ধানে সরকারের প্রচেষ্টা নেই’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্ধানে সরকারের কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায় না। ইলিয়াস আলীর সন্ধানে কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। যেহেতু সরকারই ইনভলভড। যখন ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে, তখন তো মানুষজন দেখেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। যারা দেখেছেন তারাও গুম হয়েছে, তার গাড়ির চালকও গুম হয়েছে।

‘খুব পরিষ্কার যে, এই সরকারের দ্বারাই এটা হয়েছে সেই কারণে তারা উদ্যোগ নেয় না…।’

র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার ও আওয়ামী লীগ একটা ব্যানক্রাফট হয়ে গেছে যে, তারা জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতকে অনুরোধ করতে চায়। ভারতকে বলবে, তাদের দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করাবে। বিষয়টা হচ্ছে, এই সরকারের সেই মুভ নেই, তারা এটা নিয়ে মানুষের কাছে দাঁড়াতে পারছে না।

‘অন্যদিকে তারা তো ক্ষমতায় জোর করে বসে আছে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এসব বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এইভাবে ব্যবহার করার পর তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবে, তাদের শাস্তি দেবে, তাদের বের করে দেবে অথবা তাদের আইনের আওতায় আনবে- এটা তারা করতে পারছে না। যেহেতু সরকার গুম, খুন, নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে আছে, তাদের নিয়ে এসব অপকর্ম করছে সে জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তারা (সরকার) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে গেছে।’

‘আন্তর্জাতিক আদালতের বিষয়ে কাজ চলছে’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বিষয়টার ওপর আমরা কাজ করছি। এর আগেও আমরা চেষ্টা করেছি, এখনও কাজ করছি। সঠিক সময়ে যতটুকু পারা যায় ব্যবস্থা নেব।’

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রসঙ্গেবিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন যে তিনি (সালাহউদ্দিন আহমেদ) ওখানে (ভারত) নিম্ন আদালতে মুক্ত হয়েছিলেন। পরে আবার আপার কোর্টে আপিল করে তাকে আটয়ে রাখা হয়েছে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। পরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ওই বছরের ১১ মে তাকে আটক করে শিলং পুলিশ। তার নামে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়।

মেঘালয়ে যখন আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

এ বিভাগের আরো খবর