উত্তরবঙ্গগামী মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঈদের আগে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের জন্য লেন বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের জন্য করা হয়েছে দুটি লেন।
তার পরও সেতুর পূর্ব প্রান্তের গোলচত্বর থেকে টোলপ্লাজা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
সেতু পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বাইকচালকদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে আরোহী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শত শত চালককে। হৃদয় জোবায়ের নামে একজন ভিডিওটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার আইডি থেকে শেয়ার করেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেটি আড়াই হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।
কমেন্ট অপশনে পড়েছে নানা মন্তব্য। কেউ কেউ সড়ক ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেছেন, আবার কেউ কেউ করেছেন হাসি-ঠাট্টা। ঘরমুখো মানুষের কষ্টে সমব্যথী হতে দেখা গেছে অনেক ব্যবহারকারীকে।
রমজান আলী নামে একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিটা ঘরে ঘরে ব্রিজ বানাইয়া (বানিয়ে) দিলেও শুধু অব্যবস্থাপনার কারণে এ রকম হবেই।’
মোহাম্মাদ রতন নামে একজন লিখেছেন, ‘টোলপ্লাজা কই, দেখে তো বনের মধ্যে মনে হচ্ছে।’
জুনায়েদ আজিম চৌধুরী লিখেছেন, ‘তবু সবাই নিরাপদে পৌঁছে যাক নিজের ঠিকানায়।’
সালমান আল শাহরিয়ার রিজভী লিখেছেন, ‘একটা ড্রোন শট নিলে জোশ হতো... ইট ক্যান বি রেকর্ড।’
কেন বা কী কারণে ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘বাইকজটের’ ওই ছবি শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সেতুর পূর্ব প্রান্তের।
সেতুর টোলপ্লাজা ইনচার্জ প্রবীর ঘোষ নিউজবাংলাকে জানান, ওই দিন হুট করে একসঙ্গে অনেক মোটরসাইকেল আরোহী সেতু এলাকায় চলে আসেন। এতে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। সাধারণ সময়ে সব লাইন দিয়ে মোটরসাইকেল প্রবেশ করলেও ঈদের কারণে গোলচত্বর থেকেই বাইকারদের আলাদা লাইনে টোলপ্লাজায় যেতে হচ্ছে। এতে করে ওই জট তৈরি হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন থাকলেও এরপর মোটরসাইকেলের লেনে চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) এশরাজুল হক বলেন, ‘ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালিয়েই অনেক মানুষ এবার বাড়ি ফিরছে। আমার মনে হয়, শুক্রবার বন্ধের দিন শুরু হওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহীরা সেহেরি খেয়েই রওনা হয়েছিল। তাই একসঙ্গে দুটি কাউন্টারে চাপ পড়েছিল। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।’
অন্য সময়ে টোল প্লাজায় চার-পাঁচটি লেন থাকলেও এবার সেটি ৯টি করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।