বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘টিকিট নাই, অযথা সময় নষ্ট করিয়েন না’

  •    
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:০৭

কামারপাড়া কোচ স্ট্যান্ডের শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস কাউন্টার দেখা গেছে, সেখানে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, ‘ঈদের টিকিট দেয়া শেষ, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ তারিখ পর্যন্ত টিকিট নাই, অযথা সময় নষ্ট করিয়েন না।’

ঈদের পর ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের জন্য বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে রংপুরে। কোনো কোনো বাস কাউন্টার এরই মধ্যে টিকিট বিক্রি শেষ বলে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়েছে।

আবার অনেকেই বিক্রি করছেন না বলে যাত্রীদের সাফ জানালেও গোপনে বেশি দামে বিক্রি করছে। অনেক যাত্রী কাউন্টার ঘুরে নির্ধারিত তারিখের টিকিট পাচ্ছে না।

যাত্রীদের অভিযোগ, কাউন্টারে টিকিট চাইলে বলা হচ্ছে বাসের একদম পেছনে সিট আছে। সামনের সিটের টিকিট গেল কোথায়। কোনো কোনো কাউন্টার বলছে, তারা টিকিট বিক্রি শুরু করিনি। অথচ বেশি দামে মিলছে টিকিট।শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর কামারপাড়া কোচ স্ট্যান্ডে এই চিত্র দেখা গেছে।কামারপাড়া কোচ স্ট্যান্ডের শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস কাউন্টার দেখা গেছে, সেখানে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, ‘ঈদের টিকিট দেয়া শেষ, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ তারিখ পর্যন্ত টিকিট নাই, অযথা সময় নষ্ট করিয়েন না।’

কাউন্টার মাস্টার কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৯ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত টিকিট দিয়েছি। এখন টিকিট বিক্রি শেষ। দু-একটা আছে পেছনের দিকে। কেউ নিতে চাইলে নিতে পারবে।’ নাবিল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শাকিল আহমেদ জানান, ৬ মে তারিখের পেছনে কয়েকটা সিট আছে। ৭ তারিখের কোনো টিকিট নাই। সবাই একসঙ্গে যেতে চায়। টিকিট পাব কোথায়। অন্যদিনের টিকিটও বিক্রি প্রায় শেষ।

তিনি বলেন, ‘আমরা টিকিট বেশি দামে বিক্রি করি না। যেটা রেট সেটা নিতেছি। কে কী কইতেছে তা আমরা জানি না।’ এসআর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার খোকন বলেন, ‘আমরা ঈদের টিকিট ছাড়ব ঈদের পরের দিন সকাল ৭টা থেকে। আমরা এখনও টিকিট বিক্রি শুরু করি নাই। কে কি বলে জানি না। আমরা টিকিট দিচ্ছি না।’ঢাকায় প্রাইভেট জব করেন শরীফ আহমেদ সুজন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সকালে এসেছি ৫ মের টিকিটের জন্য। কেউ বলে টিকিট আছে, কেউ বলে নাই। ৫ তারিখের টিকিট আছে বাসের আই লাইনের, মানে শেষের দিকে। টিকিট আছে, তারা দিতেছে না। আমার এক বন্ধু নিল ১৬ শ টাকা দিয়ে সামনের দিকে।’

শফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ছোট চাকরি করি। ৮ মে চাকরিতে জয়েন করব। ৭ তারিখে যেতে হবে। কেউ তো ৭ তারিখেরে টিকিট দিতে চায় না।’

সৌখিন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকে টিকিট বিক্রি করব। আমাদের বাসের ভাড়া (এসি) ১২ শ টাকা। সেটাই নেব। এক টাকাও বেশি নেব না।’রংপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ জানান, রংপুর স্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ১৭০টি গাড়ি যায়। টিকিট নিয়ে কালোবাজারির কোনো সুযোগ নাই। তবে ৬ ও ৭ মের টিকিট নাই, এটা ভুল। পর্যাপ্ত টিকিট আছে।

তিনি বলেন, ‘ঈদে মৌসুমি অনেক গাড়ি ঢুকে যায়, সেগুলো যেন কোনো অনিয়ম করতে না পারে। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যেন কেউ বেশি ভাড়া নিতে না পারে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়া নেয়া হবে।’রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সাজ্জাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ আমরা নজরদারি করছি। এ নিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর