বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় কম হলেও লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ শ্রমিক লঞ্চে বাড়ি ফিরছে। তাই শনিবার থেকে লঞ্চে এত ভিড়।
যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায়, শনিবার সকাল ৬টার পর থেকেই প্রতিটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে এই ঘাটে ভিড়ছে।
ভূরঘাটাগামী মাজেদ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে লঞ্চে ভাড়া দিতাম ৩৫ টাকা, এখন ৫০ টাকা নিচ্ছে। তারপরেও মনে কষ্ট নাই, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারছি সেটাই বড় কথা।
‘তবে লঞ্চে পা ফেলার জায়গা নাই। পুরা লঞ্চ মানুষে ভরা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছে।’
এমভি দিপু লঞ্চের সুপারভাইজার শহীদ উদ্দিন বলেন, ‘যাত্রী কিছুটা বেশি কিন্তু মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলা আছে। আর পদ্মা নদী শান্ত আছে। তাই যাত্রী একটু বেশি হলেও সমস্যা হবে না।
‘আমরা যাত্রীদের নিষেধ করলেও তারা কথা শোনে না। তাই বাধ্য হয়েই কিছু যাত্রী বেশি নেয়া হচ্ছে। বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ মিথ্যা। যারা এরকম বলছে তারা আমার সামনে এসে বলুক।’
অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রীর বিষয়টি অস্বীকার করেন মুন্সীগঞ্জের মালন ঘাটের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির।
তিনি বলেন, ‘বেশি যাত্রী বহন বা মাঝ নদী থেকে যাত্রী নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন আছে। তারা মাইকিং করছে, তখনই লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে। এখন বেশি না কম জানি না, প্রশাসনের লোকজন যেভাবে ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ছে সেভাবেই যাচ্ছে।
‘ভাড়াও বেশি নেয়ার সুযোগ নেই। নিচে ৪৫ টাকা আর ওপরে কেবিনে ৬৫ টাকা ভাড়া কাটা হচ্ছে। কেউ বেশি ভাড়া নেয়ার প্রমাণ দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেব।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান, শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারে পাঁচটি ও মাঝিকান্দিতে পাঁচটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পার করছে। পাশাপাশি রয়েছে ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট।
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদে ফেরিতে যাত্রীর চাপ খুবই কম। লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু থাকায় প্রচুর যাত্রী এসবে নদী পার হচ্ছেন।’
যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঘাট এলাকায় সবসময় পুলিশের পাহারা আছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের বাড়ি ফেরা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে জেলা পুলিশের ১০টি টিম ঈদের ১০ দিন আগে থেকে ঘাটে টহল দিচ্ছে। কোনো অনিয়ম হলে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। চুরি ছিনতাই রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’