করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ। শঙ্কা কাটিয়ে এবার সেখানে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে নামাজের।
শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। ত্রিপল দিয়ে পুরো মাঠ ঢেকে দেয়া হয়েছে। আর ভেতরে সাজানো হয়েছে সাদা কাপড় দিয়ে।
পুরো মাঠ জুড়ে ফ্যান লাগানো হয়েছে। এখন চলছে শেষ সময়ের ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানোর কাজ। বসানো হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম। এছাড়া প্যান্ডেলের ভেতরসহ পুরো ঈদগাহ জুড়ে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
গত তিন রোজা থেকেই লাখো মুসল্লির ঈদ জামাতের জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয় জাতীয় ঈদগাহে। ঈদগাহের মাঠ ছাড়াও আশপাশের এলাকা হাইকোর্ট মাজার, কদম ফোয়ারাসহ সব জায়গায় রঙ বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হচ্ছে।
ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতির জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বলতে পারেন মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে এখন শুধু নিচে কার্পেটিং এবং সাদা চাদর বিছানোর কাজটুকু বাকি। এটুকু মূলত চাঁদ দেখেই সম্পন্ন করা হয়। তা ছাড়া বাকি সব কাজই আমাদের প্রায় শেষ।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর রমজানের শুরু থেকেই আমরা জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতির জন্য কাজ শুরু করি। করোনার কারণে গত দুই বছর সেটি বন্ধ ছিল। এবারও গত তিন রোজা থেকে আমাদের কাজ শুরু হয়।’
শনিবার সকালে মাঠ প্রস্তুতির সার্বিক বিষয়ে পরিদর্শন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদ জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। পুরো ময়দান সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে জেনেছি সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের প্রধান জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হবে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে।’
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করবেন ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে।