ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়। সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের বেশ চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
ঘাট এলাকায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে দেখা যায়, পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দিতে ১০টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পার করছে। পাশাপাশি রয়েছে ৮৫টি লঞ্চ, ১৫২টি স্পিডবোট, ৮টি ট্রলার।
অনেকেরই অভিযোগ, ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে এবার এই নৌপথে কোনো ভোগান্তিই হতো না।
সকালে ঘাটে ফেরির অপেক্ষায় থাকা নুসরাত আরিফিন বলেন, ‘মাদারীপুর যাব ঈদ করতে। শ্বশুর-শাশুড়ি, ছোট বাচ্চা নিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসে আছি। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ফেরির সংখ্যা বাড়ানো। তাহলে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে নদী পার হতে পারত।’
রাজধানীর মিরপুর থেকে বাসে দেড় ঘণ্টায় মাওয়া ঘাটে এসে পৌঁছান নাজমুল হাসান। ফেরির অপেক্ষায় না থেকে তিনি লঞ্চে বরিশাল যাবেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া বন্দরের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। ঘাট এলাকায় পা ফেলার মতো জায়গা ছিল না। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, সকাল থেকে ১ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল পার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল পার হয়েছে। আরও এক হাজারের মতো ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া অন্যান্য পাঁচ শতাধিক গাড়ি নদী পার হয়েছে।