দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। তবে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ঘাট এলাকায় তৈরি হয়নি কোনো যানজট।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে শনিবার ভোর থেকেই বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার দেখা যায়। লঞ্চগুলোতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এখন ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়া লঞ্চ চলাচল করছে ২১টি।’
যে যানবাহনগুলো ঘাটে আসছে তারা সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় কোনো লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। যারা পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় আসছেন তারাও কোনো ভোগান্তি ছাড়া গন্তব্যে যেতে পারছেন।
ঢাকা থেকে খুলনা যাবেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবিদ রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি। পাটুরিয়ায় একটু গাড়ির সিরিয়াল ছিল। দৌলতদিয়ায় এসে খুলনার গাড়ি পেয়েছি। এখন বাড়িতে যাব, ভালোই লাগছে। গত বছরগুলোর তুলনায় বলা যায় এই রুটে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি যাওয়া যাচ্ছে।’
ফরিদপুর বোয়ালমারী গ্রামের শান্ত শিকদার বলেন, ‘দৌলতদিয়ায় এসে বাসে ভিড় দেখে মাহিন্দ্রাতে উঠেছি। ভাড়া একটু বেশি চাচ্ছে কিন্তু ঈদের সময় ভাড়া বেশিই নেয়। এত তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারায় ভালো লাগছে।’
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ট্রাকচালকদের ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করতে হলেও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে তুলনামূলক বেশ কম সময়েই পার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাট কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল থেকে পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে যাত্রীদের তুলনায় যানবাহনের চাপ কম।
‘ঘাটে এখন অর্ধশতাধিক বাস, দেড় শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও তিন শতাধিক ট্রাক নদী পারের অপেক্ষায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীর চাপ বাড়লেও আমাদের সমস্যা হবে না। যাত্রীদেরও ভোগান্তি হবে না। কারণ সবগুলো ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি পারাপারে সময়ও কম লাগছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীরা আসামাত্রই ফেরির দেখা পাচ্ছেন।’