বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বামীর সঙ্গে অভিমান, থানায় বিষপান

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:০৫

সাবিনা বলেন, ‘আমি স্বামীর সঙ্গে তার বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরি। তাতে রাজি না হওয়ায় আমি বিষ কিনে নেই। পরে থানায় গিয়ে আমি শেষবারের মতো তাকে অনুরোধ করি তার সঙ্গে আমাকে নিয়ে যেতে। রুবেল আমাকে তালাক দেয়ার কথা বলে। তাই আমি বিষ পান করি।’

লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার ভেতরে স্বামীর সামনে বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক গৃহবধূ।

আদিতমারী থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সাবিনা রুবেল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই স্ত্রীকে নিয়ে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের শঠিবাড়ি এলাকায় একই বাড়িতে থাকেন রুবেল। সাবিনার বাবার বাড়ি উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি ভেটেশ্বর গ্রামে।

সাবিনা জানান, মাস কয়েক আগে তাকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন রুবেল। এরপর কোনো যোগাযোগ রাখেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদিতমারির শিববাড়ি এলাকায় ডেকে নেন রুবেল। সেখানে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নেয়।

সাবিনা বলেন, ‘আমি স্বামীর সঙ্গে তার বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরি। তাতে রাজি না হওয়ায় আমি বিষ কিনে নেই। পরে থানায় গিয়ে আমি শেষবারের মতো তাকে অনুরোধ করি তার সঙ্গে আমাকে নিয়ে যেতে। তখন রুবেল আমাকে তালাক দেয়ার কথা বলে। তাই আমি বিষ পান করি।

‘দুই বছর সংসার করার পর যদি স্বামী তালাক দেয়ার ঘোষণা দেয় তাহলে এই জীবন রেখে কী লাভ? তাই মরার জন্য থানার ভেতরেই বিষ খেয়েছি। কিন্তু পুলিশের কারণে মরতেও পারলাম না। স্বামী তালাক দিলে আমি আত্মহত্যা করব।’

থানার ওসি মোক্তারুল জানান, সাবিনা বিষ পানের করে থানায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে তখনই হাসপাতালে নেয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সৌরভ দত্ত জানান, সাবিনা আশঙ্কামুক্ত।

সাবিনার স্বামী রুবেল মিয়া বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় পুলিশ গিয়ে আমাদের থানায় নিয়ে আসে। থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাকে আমি তালাক দেইনি, কিন্তু আমার সঙ্গে যেতে না পারায় সাবিনা থানার ভেতরে আমার ও পুলিশের সামনেই বিষ পান করেছে। এখন সে হাসপাতালে আছে; সুস্থ আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর