বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিলা কাটায় বাধা: হামলায় আহত ওঁরাও সম্প্রদায়ের দুজন

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ২২:২৪

স্থানীয় মিলন ওঁরাও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে কয়েকজন শ্রমিক চন্দনটিলা কাটা শুরু করে। তা দেখে আমার বোন ও স্ত্রীসহ কয়েকজন গিয়ে বাধা দেন। বাধা পেয়ে তারা তখন ফিরে গেলেও কিছুক্ষণ পর ১৫-১৬ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এসে নারীদের উপর হামলা চালায়।’

সিলেটে টিলা কাটায় বাধা দেয়ায় ওঁরাও সম্প্রদায়ের কয়েকজনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে দুজন আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে। আহতদের একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নগরের বালুচর এলাকার চন্দনটিলায় শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় ওঁরাও সম্প্রদায়ের লোকজন।

সিলেটের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, মারধরের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে ভর্তি যুবকের বিষয়টিও জানা নেই বলে তিনি জানান।

ওসমানী মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের সমন্বয়ক কায়সার খোকন জানান, বালুচর থেকে আহত হয়ে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরে বেশ কিছু আঘাত আছে।

চন্দনটিলার ওঁরাও সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তি নিউজবাংলাকে জানান, স্থানীয় একটি গোষ্ঠি অনেকদিন ধরে তাদের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ওঁরাওদের উচ্ছেদ করে অবাধে টিলা কেটে চলছে তারা। এ নিয়ে মামলাও চলছে।

স্থানীয় মিলন ওঁরাও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে কয়েকজন শ্রমিক চন্দনটিলা কাটা শুরু করে। তা দেখে আমার বোন ও স্ত্রীসহ কয়েকজন গিয়ে বাধা দেন। বাধা পেয়ে তারা তখন ফিরে গেলেও কিছুক্ষণ পর ১৫-১৬ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এসে নারীদের উপর হামলা চালায়।

‘হামলা ঠেকাতে গেলে তাদের মারধরে আহত হন রিপন ওঁরাও ও সজিব ওঁরাও। এর মধ্যে রিপনের অবস্থা গুরুতর। সে আমার ভাতিজা। তাকে হাসপাতাল (ওসমানী মেডিক্যাল) এনে ভর্তি করেছি।’

মিলনের অভিযোগ, তাদের জমি টুলটিকর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির ও তার স্বজনরা দখল করে আছেন। আরও জমি তারা দখলে নিতে চাচ্ছেন। তারাই এই হামলা চালিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল মছব্বিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি।

শাহপরান থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিলা কাটা ও মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল, কিন্তু টিরা কাটায় ব্যবহার হওয়া ঠেলা ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। দুই পক্ষেই কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

নিষেধ সত্ত্বেও টিলা কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টা পরিবেশ অধিদপ্তরের দেখভাল করার কথা। তারা মামলা করতে পারে। মামলা করলে আমরা তদন্ত করে দেখব।’

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কয়েকটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সম্মিলিত বিবৃতি দিয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, আশির দশক থেকে ওই এলাকার একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যূ চক্র ওঁরাও সম্প্রদায়ের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এরইমধ্যে ওঁরাওদের অনেককে তারা বসতভিটা থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদ করে দিয়েছে। এখন ১৫ থেকে ২০টি পরিবার সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

বিবৃতি আরও বলা হয়েছে, ওই চক্রের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা জজ আদালতে একাধিক মামলা চলমান। তারাই শুক্রবারের হামলাটি চালিয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ও ওঁরাও সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

এ বিভাগের আরো খবর