নেত্রকোণার মদনে নিজ ঘর থেকে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলার আসামিপক্ষের হুমকি-ধামকি সহ্য করতে না পেরে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
মেয়েটি বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় ঘরের আঁড়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার জানায়। পুলিশ শুক্রবার সকালে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃত তরুণীর স্বজনরা মৌখিক অভিযোগ জানালেও শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি।
ওই তরুণীর ভাই নিউজবাংলাকে জানান, একই গ্রামের মো. রুমেলের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রুমেল মেয়েটির সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে থাকেন। বিয়ের দাবিতে রুমেলের বাড়িতে গিয়ে অনশনও করেন ওই তরুণী।
কলেজছাত্রীর ভাই জানান, ২০২০ সালের ৭ আগস্ট তিনি রুমেলের নামে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। মদন থানা পুলিশ রুমেলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
সেই মামলা তুলে নিতে গত বৃহস্পতিবার রুমেলের ভাই মো. রাসেল মেয়েটিকে হুমকি দেন বলে জানান বাদী।
তিনি বলেন, ‘আমার বোন ও পরিবারের অন্যরা ঈদের কেনাকাটা করতে মদন পৌর সদরের মার্কেটে যায়। সেখানে রুমেলের বড় ভাই রাসেলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। রাসেল তাদের মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। তা না করলে মোবাইল ফোনে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়। এসব সহ্য করতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যা করেছে।’
মদন থানার ওসি ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা ছাত্রীর পরিবারের লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। মৌখিক কিছু অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’