বরিশালের মুলাদীতে পারিবারিক বিরোধে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে নাতিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কাছেম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের জালালাবাদ লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খুন হওয়া জিসান মালয়েশিয়া প্রবাসী নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে কাছেম হাওলাদার ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তার নাতি জিসানের মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কাছেম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনেছেন জিসানের মা জিয়াসমিন আক্তার।
ঘটনার পর থেকে কাছেম, তার ছেলে আজিজুল হাওলাদার, পুত্রবধূ আঁখি নূরসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন।
স্বজনদের দাবি, জিসানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তারা জানান, বুধবার সকালে জিসান তার বাবার কেনা জমির গাছ থেকে নারকেল ও লেবু পাড়ে। এ নিয়ে দুপুরে জিসানের মায়ের সঙ্গে তার চাচা আজিজুল হাওলাদার ও চাচি আঁখি নুরের ঝগড়া হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে জিসানের মা জিয়াসমিন ঘর থেকে বের হতেই আঁখি নুর তার লোকজন নিয়ে হামলা চালান। এ সময় তার চিৎকারে মেয়ে নাজমুন নাহার শিখা এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
মা ও বোনের চিৎকারে জিসান ঘুম থেকে জেগে বাইরে গেলেই দাদা কাছেম হাওলাদার ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে জিসান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যালে নিলে শুক্রবার সকালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জিসানের মা জিয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘জিসান আমাদের কেনা জমির গাছের নারকেল ও লেবু খেয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে কাছেম হাওলাদার, তার ছেলে ও পুত্রবধূ মিলে জিসানকে হত্যা করেছে।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘দাদার ক্রিকেট ব্যাটের আঘাতে নাতির মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’