ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষজন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো হাজারো মানুষ। শুক্রবার সকালে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলেও বিকেলে তেমনটা চাপ দেখা যায়নি। তবে রাতে বেশ কয়েকটি ট্রেন থাকায় যাত্রীর চাপ আবারও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ছিল বৃহস্পতিবার, দিনভর বিশেষ করে অফিস শেষে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। শুক্রবার সকালে থেকে বাড়ির পথে পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সকালেও। কিন্তু বিকেলে দেখা গেল ঠিক তার উল্টো চিত্র। প্ল্যাটফর্মগুলো বলতে গেলে পুরো ফাঁকা। ঈদ যাত্রার প্রথম দুই দিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভিড় স্বাভাবিক মাত্রায় থাকলেও শুক্রবার সকালে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল।
চট্টগ্রাম থেকে মহানগর এক্সপ্রেস ঢাকায় এসেছেন সজিব মিয়া। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখন আমি রংপুরে যাব। কিন্তু টিকিট পাইনি। টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আসার পর যাত্রী সংখ্যা তো স্বাভাবিক দেখলাম। মনে হয়নি যে যাত্রী সংখ্যা এত কম হবে।’
কমলাপুরে জামালপুরগামী যমুনা এক্সপ্রেসে যাচ্ছেন হাসান আলী। ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কমলাপুরে যাত্রীর চাপ এখন দেকা যাচ্ছে একেবারে কম। কিন্তু বিমানবন্দর গেলে যাত্রীসংখ্যা বাড়তেও পারে।’
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে ময়মনসিং যাবেন ইসাহাক আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন তো স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। ঈদের কোনো চাপই দেখছি না।’
একটি ট্রেনে ময়মনসিং যাবেন শামীম শিহাব। নিউজবাংলা তিনি বলেন, ‘যাত্রীর চাপ কম হবে সেটা আশা করিনি। স্টেশনে এসে দেখি একেবারেই ফাঁকা।’
কমলাপুরে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আমির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন বিকেল বেলা যাত্রীর চাপ একটু কম। রাত্রে আবার চাপ বাড়তে পারে।’
এবারের ঈদ যাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে যাত্রার কথা আগেই জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনে আসন থাকবে প্রায় ২৭ হাজারের বেশি।
ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।