সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের সড়াতৈল দক্ষিণপাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে সাখাওয়াত হোসেন বন্দি নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের দুই ছেলে রুবেল ও রাকিবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে।
নিহতের বোন হোসনে আরা খাতুন ও সাদিয়া খাতুন জানান, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে রুবেলের বউ আলপনা খাতুনের সঙ্গে শাশুড়ি রেবা খাতুনের ঝগড়া শুরু হয়। খবর পেয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা আলপনার বাবা আলতাব হোসেন, মা শিফু খাতুন ও ভাই সাগর ছুটে এসে রেবা খাতুনকে মারধর করতে থাকেন।
এ সময় রেবা খাতুনকে উদ্ধারে সাখাওয়াত হোসেন বন্দি এগিয়ে গেলে তার মাথায় ও বুকে কাঠের পিঁড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন রুবেল, তার শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও স্ত্রী। এতে গুরুতর আহত হন বন্দি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় বন্দিকে উদ্ধার করে শাহজাদপুরের বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রেবা খাতুন ওই হাসপাতালেই এখনও চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার এসআই মঞ্জুরুল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে রুবেলের বাবা-মায়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারপিটের ঘটনায় বন্দি নিহত হয়েছেন। এ মারপিটের সঙ্গে রুবেলও জড়িত থাকতে পারে। তাই তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
রুবেলের শ্বশুর আলতাব হোসেনের ভাতিজা নবী হোসেন জানান, রুবেলের ছোট ভাই রাকিবকে সিএনজি কিনে দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রুবেল তার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যার সঙ্গে তাদের পরিবারের কেউ জড়িত নন।
শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ হত্যার সঙ্গে রুবেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন জড়িত। ঘটনার সময় সেখানে রুবেলও উপস্থিত ছিল। তাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুবেল ও রাকিবকে থানায় আনা হয়েছে।’
তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের শুক্রবার ভোরে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।