ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গ্রামপুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে প্রত্যাহার করা উপপরিদর্শক (এসআই) হোসাইন মোহাম্মদ আরাফাতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমার উজ্জামান শুক্রবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য কাজ করি। যদি কোনো কর্মকর্তা অপরাধ করেন, সেই দায় পুলিশ বাহিনীর ওপর বর্তায়। কারণ আমাদের ইউনিফর্ম আছে। মানুষ আমাদের দিকেই তাকিয়ে থাকে।’
এসপি আরও বলেন, ‘গ্রামপুলিশকে মারধরের অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। আমি ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে থানা থেকে এসআই আরাফাতকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেছি। গ্রামপুলিশ যদি এসআইয়ের কাজে সহায়তা নাও করে, তবুও তাকে মারধর কিংবা থাপ্পড় দেয়ার অধিকার তার নেই।
‘এর একটি অপরাধও ওই এসআই করে থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভাগীয় মামলা দিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
গত ২৫ এপ্রিল এসআই আরাফাতের নামে মারধরের অভিযোগ তোলেন জাটিয়া ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ আবু তাহের।
তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহের মতো সোমবার থানায় হাজিরা দিতে আসি। সবাই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এসআই আরাফাত তাহের নামে কেউ আছে কি না জিজ্ঞেস করেন। এ সময় আমি আছি বলতেই তিনি আমার শার্টের কলার ধরে একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে বেত দিয়ে আমাকে মারধর করেন।
‘তিনি আমার মোবাইলও নিয়ে নেন। মোবাইল ফেরত চাইলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দেন।’
এরপর তাহের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
সোমবার রাতেই আরাফাতকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
তবে আরাফাতের দাবি তাহেরকে তিনি মারধর করেননি। বলেন, ‘একটি মামলার তদন্তের জন্য তাহেরকে ফোন করেছিলাম। তিনি ধরেননি। সুটিয়া বাজারে তাকে থাকার কথা বলেছিলাম, সেখানেও যাননি। তাই তাকে একটু ধমক দেয়া হয়েছে।’