ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের সেবায় বরিশাল লঞ্চঘাটে বিনা মূল্যে ৩৫টি বাসের সেবা চালু করেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
এর মাধ্যমে লঞ্চঘাট থেকে নগরীর দুই বাস টার্মিনালে এ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হয়েছে প্রায় দশ হাজারের মতো যাত্রীকে। এ ছাড়া অসুস্থদের জন্য মেডিক্যাল বুথ, অ্যাম্বুলেন্স ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পুরো বিষয়টির তদারকিতে ৩২টি সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী মিনিবাস টার্মিনালে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা থেকে ভোর পর্যন্ত বিনা মূল্যে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে যাত্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ সেবা চলবে ঈদের আগ পর্যন্ত।
ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বরিশালে লঞ্চে আসা যাত্রী সুমাইয়া আফরিন বলেন, ‘ঘাটে নেমেই সিটি করপোরেশনের কর্মীরা আমাদের নথুল্লাবাদের বাসের কাছে নিয়ে গেছেন। সহায়তাটি ভালো লেগেছে।’
ঢাকা থেকে বরিশালে আসা রুপাতলীর যাত্রী মৃধা মুনসুর বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসেছি। লঞ্চঘাটে নেমেছি রাত সাড়ে ৩টায়। ঘাটের সামনে এসে কোনো গাড়িই পাইনি, মানে যানজটই নেই। তারপর করপোরেশনের লোকজনই আমাদের পথ দেখিয়েছেন কীভাবে গন্তব্যে যেতে হবে।’
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে রাজধানী থেকে লাখ লাখ মানুষ বরিশালে আসছেন। সেই যাত্রীদের মধ্যরাতে যাতে ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, সেই জন্য সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ২০টি বাসের ব্যবস্থা করেছেন। এসব বাসে করে বরিশালের দুটি বাস টার্মিনালে যাত্রীদের পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পরে যাত্রীর চাপ বাড়ায় ভোররাতে আরও ১৫টি বাস বাড়ানো হয়।’
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বরিশালে এসে যাত্রীদের যাতে বিন্দুমাত্র ভোগান্তিতে না পড়তে হয় সেই কারণে প্রথমে ২০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়। যাত্রীর চাপ বুঝে আরও ১৫টি বাস বাড়ানো হয়। পাশাপাশি মেডিক্যাল বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
‘যাত্রীদের সুবিধার জন্য নদীবন্দরের প্রথম গেটের সামনে রোড ম্যাপ দেয়া হয়েছে। কোন জায়গায় বাস, কোন জায়গায় থ্রি হুইলার এবং কোন জায়গায় ম্যাজিক গাড়ি পাওয়া যাবে তা রোড ম্যাপ দেখলেই মিলবে। যাত্রীদের সহায়তার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীরা থাকছেন বেশ কয়েকটি পয়েন্টে।’
পুরো বিষয়টি ৩২টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অসুস্থ রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান মেয়র।