বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গরম-ভিড় উপেক্ষা করে নীড়ে ফেরার অপেক্ষা

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ০৮:৪৬

প্রচণ্ড গরম ও ভিড়ের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ট্রেনের যাত্রীদের, তবে বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাসের কাছে ম্লান সে ভোগান্তি।

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তৃতীয় দিনের মতো নীড়ে ফিরছেন যাত্রীরা। ঈদযাত্রার প্রথম দুই দিন অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও শুক্রবার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে স্টেশনে।

প্রচণ্ড গরম ও ভিড়ের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের, তবে বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাসের কাছে ম্লান সে ভোগান্তি।

প্রথম দিন থেকেই বিলম্বিত হচ্ছে কিছু ট্রেন। পরিস্থিতি মাথায় রেখে বেশ আগে থেকেই স্টেশনে এসে অপেক্ষা করছেন অনেকে।

আগের দিন বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস ছিল। আজ থেকে ছুটি শুরু হওয়ায় বাড়ির পথে পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তিল ধারণের জায়গা থাকছে না।

যানজট ও ট্রেন ধরতে না পারার আশঙ্কা থেকেই অনেক আগে থেকেই স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হন। যাদের বাসা দূরে, তারা সেহেরির আগেই রওনা দিয়েছেন। আর যাদের কাছাকাছি এলাকায়, তারা সেহেরি খেয়ে রওনা দিয়েছেন স্টেশনে।

কথা হয় কিশোরগঞ্জগামী এগারসিন্দুর প্রভাতীর যাত্রী আসাদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি রাজধানীতে ব্যবসা করেন। ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ভৈরবে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে স্ত্রী ও ভাই।

তিনি জানান, যানজটের কারণে ট্রেন যেন মিস না হয়, তাই অনেক আগেই চলে এসেছেন স্টেশনে। ট্রেন সকাল সোয়া ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তিনি এসেছেন আরও ঘণ্টা দুয়েক আগে।

নিউজবাংলাকে আসাদ বলেন, ‘গতকাল সবাই অফিস শেষ করেছেন। আজকে ভিড় হবে, এটা আগে থেকেই অনুমান করেছিলাম। তাই সেহেরি খেয়েই রওনা দিয়েছিলাম।

‘একটু আগেই চলে এসেছি। বসে সময় কাটাতে হয়েছে, তবে তাতে আপত্তি নেই, ট্রেনটা তো আর মিস হচ্ছে না। বাড়ি যেতে পারছি, এটাই মনে ভালো লাগার অনুভূতি এনে দিচ্ছে।’

চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতীর যাত্রী বেসরকারি চাকুরে আরিফ বলেন, ‘রাস্তাতে আসার পথে ব্যাপক যানজট ছিল। স্টেশনে আসতে গাড়িও পাওয়া যাচ্ছিল না। সিএনজিগুলো অনেক বেশি ভাড়া চাচ্ছে। অবশেষে বেশি ভাড়া দিয়েই একটা সিএনজিতে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল সবাই অফিস করেছেন। আজকে ছুটি শুরু হওয়ায় স্টেশনে ভিড় বেড়েছে। মানুষের ভিড়ে প্রচণ্ড গরম লাগছে, তবে বাড়ি যাওয়াটাই এখন মুখ্য বিষয়, আনন্দের বিষয়। এ জন্য এসব কিছুই মনে হচ্ছে না।’

তিস্তা এক্সপ্রেসের যাত্রী হাসানের সঙ্গে কথা হয়। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এ ব্যক্তি বলেন, ‘আজকে তো ছুটি শুরু, মানুষের ভিড় বেশি হবে। এটা আগেই অনুমান করেছিলাম, তবে ভিড়টা অনেক বেশিই মনে হচ্ছে, যার কারণে গরমও পড়েছে।

‘এসব কষ্টের বাইরেও ভালো লাগার বিষয় এটি যে, ঈদ করতে পারব মা-বাবার সঙ্গে ‘

তিনি জানান, ট্রেন ধরতে সেহেরি খেয়েই বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলেন।

এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এর মধ্যে শুধু আন্তনগর ট্রেনে আসন আছে ২৭ হাজারের বেশি।

ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ২৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওই দিন ২৭ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ২৫ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের, ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিলের এবং ২৭ এপ্রিল দেয়া হয় ১ মের টিকিট।

এ বিভাগের আরো খবর