ঈদে বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন রাজধানীর মানুষ। উত্তরবঙ্গের ৩২ জেলার মানুষ রওনা দিয়েছেন গাজীপুরের মহাসড়ক ধরে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
মহাসড়কে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে, এখনও যানজট লাগেনি কোথাও। তবে ভাড়া কয়েক গুণ বাড়তি আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে কর্মস্থল ছাড়ছে ঢাকাসহ আশপাশের জেলার মানুষ। যানজটে পথের ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেই গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। যাদের অফিস ছুটি হয়নি তারা পরিবারের সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল রুটে যানবাহন ও যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি। শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো খোলা ছিল। বিকেলের পর বেশ কিছু কারখানা ও অফিস ছুটি হওয়ায় ঘরমুখো যাত্রীর চাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। বাস স্টেশনগুলোয় যাত্রীদের চাপ দেখা যায়।
বিকেল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর চন্দ্রা ত্রিমোড়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্টেশন রোড, ভোগরা বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
গাড়িতে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ এনে যাত্রীরা জানান, পরিবহনগুলোয় বুধবার যে ভাড়া ৩০০ টাকা ছিল, এক দিনে সেই ভাড়া বেড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা হয়েছে।
বেশি ভাড়া আদায়ের পরও যাত্রীদের মধ্যে দ্রুত বাড়ি পৌঁছানোর তৎপরতা দেখা গেছে।
নার্গিস আক্তার নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে পোশাক কারখানার ছুটি শুরু হয়েছে। যানজটের ভয়ে আগেভাগেই গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। চন্দ্রায় এসে গাড়িতে সিট পাচ্ছি না। যা আছে সেসবের ভাড়া অনেক বেশি।’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার উদ্দেশে সপরিবারে রওনা হয়েছেন সোহরাব মিয়া। তিনি বলেন,‘অন্য সময় চন্দ্রা থেকে ভাড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এখন সিট ছাড়া দাঁড়িয়ে যেতেও লাগছে ৪০০ টাকা।’
টঙ্গী স্টেশনরোড এলাকার নরসিংদী, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাস কাউন্টারগুলোয় হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে টিকিটের দাম।
লাবিবা পরিবহন, তিতাস পরিবহন, পিপিএল সুপার, বাদশা পরিবহনের কাউন্টারগুলোয় বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। ১৫০ টাকার টিকিট বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এ নিয়ে যাত্রীরা ক্ষোভ জানালেও উপায় না পেয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে তাদের।
লাবিবা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শাহীন বলেন, ‘ঈদের আর কদিন বাকি। এখনই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, তাই ভাড়া একটু বেশি হবেই।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অধিকাংশ পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় দুপুরের পর থেকে সড়কে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের ৩০০ সদস্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও সদস্য কাজ করছেন। সড়কের খানাখন্দ সংস্কার হওয়ায় এবার দুর্ভোগ কমবে।’