বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামালপুর ও রংপুর পাচ্ছে পল্লি উন্নয়ন অ্যাকাডেমি

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:০৮

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুটো আইন একই জিনিস। সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমারের পল্লি উন্নয়ন ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রাইভেট সেক্টর বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোগকে আর কার্যকর করার জন্য আমাদের বার্ড ও আরডিএর আদলে আরও কিছু অ্যাকাডেমি প্রয়োজন।’

দেশের দুই জেলায় আরও দুটি পল্লি উন্নয়ন অ্যাকাডেমি করতে আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে একটি শেখ হাসিনা পল্লি উন্নয়ন অ্যাকাডেমি জামালপুর এবং অন্যটি হলো পল্লি উন্নয়ন অ্যাকাডেমি রংপুর আইন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইন দুটিতে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুটো আইন একই জিনিস। সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের পল্লি উন্নয়ন ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রাইভেট সেক্টর বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোগকে আরও কার্যকর করার জন্য আমাদের বার্ড ও আরডিএর আদলে আরও কিছু অ্যাকাডেমি প্রয়োজন।

‘কারণ যে পরিমাণ কাজ বেড়ে গেছে, তাতে এই দুটি অ্যাকাডেমি পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য দুটি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। আইন দুটি একই রকম।’

তিনি বলেন, ‘আইনের খসড়ায় ২৩টি ধারা রয়েছে। এ আইনের মাধ্যমেই অ্যাকাডেমি দুটি প্রতিষ্ঠিত হবে। এগুলো বার্ড এবং আরডিএর আদলেই পরিচালিত হবে। একটা বোর্ড থাকবে। কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বোর্ড আইন, বিধি ও সরকারের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুসরণ করবে।

‘২১ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন পদাধিকার বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। ভাইস চেয়ারম্যান হবেন পদাধিকার বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব। সদস্য সচিব থাকবেন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটার কাজ হবে মূলত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। কিছু কিছু পাইলট প্রজেক্ট করা। পল্লি উন্নয়ন ও এ-সংক্রান্ত বিষয়ে তারা ডিপ্লোমা দেবে, সার্টিফিকেট কোর্স করবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে তারা এফিলিয়েটেড থাকবে।

‘প্রফেশনাল ট্রেনিংগুলো তারা করাবে। পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক অনেক প্রশিক্ষণের বাইরেও তারা যখন আমাদের ব্যাবলক বেড়ে গেল, তখন বিভিন্ন ক্যাডারের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংগুলো এসব অ্যাকাডেমিকে শেষ করতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় জিনিস থাকবে গবেষণার কাজ। গবেষণা হবে তাদের মৌলিক বিষয়। নতুন নতুন পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তি বা কর্মসূচি বা কার্যক্রম ভালো করে করা।’

তিনি বলেন, ‘তাদের দায়িত্ব থাকবে ব্যাপক গবেষণা করা, পাইলট প্রজেক্ট করা, সরকারের বিভিন্ন সক্ষমতা বাড়ানোর ভেন্যু হিসেবে কাজ করা। মাঠপর্যায়ের কন্ট্রাক্ট বডি হিসেবে সেগুলোর কার্যকারিতা কতটুকু হবে সেই বিষয়ে টেস্ট করা।

‘প্রতি চার মাসে বোর্ডের একটি মিটিং হবে। চেয়ারম্যান এগুলো ঠিক করে দেবেন। সরকার ডিজি নিয়োগ দেবেন। যুগ্মসচিব বা এর ওপরের কোনো কর্মকর্তাকে নির্ধারিত শর্তে সরকার ডিজি নিয়োগ দেবে। কর্মচারীদের নিয়োগ বোর্ডের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী হবে। একটা তফশিলি ব্যাংকে অ্যাকাডেমির তহবিল থাকবে। পরবর্তী সময়ে হয়তো যশোরেও একটা আরডিএ হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর