বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিআইবির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পক্ষে তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৪৩

‘তারা গবেষণা প্রতিবেদন করেছে। কী রকম গবেষণা! আসলে যে তারা কোনো গবেষণা করে না, তড়িঘড়ি করে দেশকে দোষী করার জন্য তারা যে মনগড়া তথ্য দেয় এটিই তার প্রমাণ।’

করোনার টিকার খরচ নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য দেয়ায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ জন্য তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান।

তথ্যমন্ত্রী এমনটিও বলেছেন, টিআইবি যে ইচ্ছা করে দেশের নামে বদনাম করার চেষ্টা করে, তা তাদের টিকার খরচের গবেষণাতেই প্রমাণ মিলেছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদেরকে টিআইবির সেই গবেষণা প্রতিবেদন ও পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া ব্যাখ্যা নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

টিআইবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য পুরোপুরি না শুনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গবেষণার নামে অভিযোগ তুলেছে অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে তো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং লিগ্যাল নোটিশ প্রয়োজনে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যাচার, গবেষণার নামে দেশকে দোষী করা, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা, যেখানে সরকার আজকে সমগ্র বিশ্ব কর্তৃক প্রশংসিত। ১৩০ টা দেশে যখন শুরু হয়নি তখন বাংলাদেশ টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল। বাংলাদেশে ২৫ কোটি ডোজের বেশি টিকা দেয়া হয়েছে, পুরোটাই বিনামূল্যে।’

গত ১২ এপ্রিল টিআইবির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার টিকার পেছনে ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকা জানালেও তাদের গবেষণায় পাওয়া গেছে ১৪ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে।

তবে টিআইবির গবেষক মোহাম্মদ জুলকারনাইন পরে নিউজবাংলাকে জানান, তারা অনুমানের ভিত্তিতে এই হিসাব কষেছেন।

টিআইবি যখন এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন দেশের বাইরে। তিনি দেশে ফিরে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে, এ কথা তিনি বলেননি। তিনি বলেছেন, সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা বিনামূল্যে বিতরণ করেছে।

দেশে যে প্রায় ৩০ কোটি টিকা এসেছে, তার মধ্যে সাড়ে ৯ কোটি টিকা এসেছে বিনা মূল্যের উপহার হিসেবে। বাকি টিকা কিনতে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। আর এই টিকা পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণে ব্যয় হয়েছে আরও তিন হাজার কোটি টাকা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অনেক টিকা ক্রয় করেছে। এটা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিস্তারিত জানিয়েছেন। টিকা কিনতে সরকার ১৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। সেগুলো আবার ডিস্ট্রিবিউশন, প্রিজার্ভেশন, টিকাগুলো মানুষকে পুশ করা বাবদ আরও ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অর্থাৎ ২০ হাজার কোটি টাকা এভাবে খরচ হয়েছে, সরকার যে টিকাগুলো কিনেছে সেগুলো বাবদ।

‘আর সরকার সাড়ে ৯ কোটি ডোজ টিকা বিনামূল্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করেছে। সেগুলোর যদি মূল্য ধরা হয়, এগুলোর প্রতিটির মূল্য ২৫ থেকে ৩০ ডলার। সেগুলোর মূল্য ধরা হলে তা আরও প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।

‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা দিয়েছি। এই পুরো টিকাটাই কিন্তু বিনামূল্যে প্রত্যেকটি মানুষকে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও কিন্তু বিনামূল্যে দেয়নি। সেখানে পয়সা দিয়ে টিকা নিতে হয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিনামূল্যে টিকা সংগ্রহ করার করণে সরকার প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সেই কথা ধরে টিআইবি তড়িঘড়ি করে একটা স্টেটমেন্ট করল যে, সরকার এই খাতে এত হাজার কোটি টাকা বেহাত করেছে। অথচ তারা ইনসাইডে ঢুকেনাই। কী রকম একটি অপেশাদার এবং ভেতরে না ঢুকে তড়িঘড়ি করে যে বিবৃতি দেয়, এটা হচ্ছে টিআইবির...

‘তারা বিবৃতি না, তারা গবেষণা প্রতিবেদন করেছে। কী রকম গবেষণা! আসলে যে তারা কোনো গবেষণা করে না, তড়িঘড়ি করে দেশকে দোষী করার জন্য তারা যে মনগড়া তথ্য দেয় এটিই তার প্রমাণ।’

টিআইবির বক্তব্যের সূত্র ধরে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী সরকারের বিরুদ্ধে টিকার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। সে প্রসঙ্গেও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘টিআইবি তো পারপারফুলি করেছে, আর রিজভী সাহেব মূর্খের মতো বলেছেন। সরকার আসলে ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর