বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আপাতত থানা নয় তেঁতুলতলায়

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:০০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জায়গাটির জন্য অ্যাপ্লাই করেছি ২০১৭ সালে। সেটির খোঁজ নিয়ে দেখলাম, সেই এলাকায় খেলার জায়গাই নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু খালি জায়গা নেই, বিনোদনের কিছু নেই, সে জন্য তিনি বলেছেন পুলিশের জমি সেভাবে থাকুক। কোনো কনস্ট্রাকশন যেন না হয়। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক।’

কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠের মালিকানায় পুলিশ থাকলেও আপাতত সেখানে থানা নির্মাণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা জায়গাটির জন্য অ্যাপ্লাই করেছি ২০১৭ সালে। সেটির খোঁজ নিয়ে দেখলাম, সেই এলাকায় খেলার জায়গাই নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু খালি জায়গা নেই, বিনোদনের কিছু নেই, সে জন্য তিনি বলেছেন পুলিশের জমি সেভাবে থাকুক। কোনো কনস্ট্রাকশন যেন না হয়। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক।’

তেঁতুলতলা মাঠটিতে খেলাধুলা, জানাজা, ঈদ জামাত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে এলেও গত ৩১ জানুয়ারি থেকে তা বন্ধ। মাঠের জায়গায় কলাবাগান থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য রোববার থেকে মাঠের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এরপর এলাকাবাসী মাঠ রক্ষায় আন্দোলনে নামেন। মাঠে থানা নির্মাণের প্রতিবাদ করায় গত রোববার সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। ওই মাঠ থেকে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় তাদের দুজনকে আটকের প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

এরপর ধীরে ধীরে আন্দোলন বড় হতে থাকে। ঢাকা মহানগর পুলিশ পরে জানায়, জায়গাটি তারা সরকারের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। সেখানে থাকা করার পর একটি ডিও লেটার দিয়েছিলেন সেখানকার তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।

পুলিশ জানায়, তারা সব আইন মেনেই সেখানে থানা নির্মাণের কাজ শুরু করে।

মাঠ রক্ষার আন্দোলন জোরালো হলে বিষয়টি নিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে জানানো হয়, মাঠে থানা হবে কি না তার সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।

কলাবাগানের বাসিন্দারা জানান, তেঁতুলতলা মাঠের এক বিঘা জমি একজন বিহারির মালিকানায় ছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি আর দেশে ফেরেননি। সেই জায়গাটিতে স্থানীয় শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করত।

সরকারি খাস জমি হিসেবে নথিভুক্ত এই ফাঁকা জায়গাটিতে থানা করতে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আর এর পর থেকেই সেই জায়গাটি খেলাধুলার জন্য ফাঁকা রাখার দাবি উঠেছে।

এ বিভাগের আরো খবর