বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাওরে এবার ভাঙল স্থায়ী বাঁধ

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৩০

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেত্রকোণা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ চর হাইজদা বাঁধটি নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ। তিন বছর আগেও গাগলাজুর এলাকায় বাঁধটির ৫ কিলোমিটার অংশ খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ব্লক দিয়ে ওই ৫ কিলোমিটার অংশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধটি খুব মজবুত ছিল। ভেঙে পড়ার মতো কোনো পূর্ব লক্ষণ ছিল না। তাই আমরা মনে করছি, এটি নাশকতার পাঁয়তারা হতে পারে।’

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার চর হাইজদা ফসলরক্ষার স্থায়ী বাঁধটি ভেঙে গেছে। বুধবার গভীর রাতের কোনো এক সময় বাঁধটি ভেঙে যায় বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা তা দেখতে পান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেত্রকোণা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত ও মোহনগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে ব্লক দিয়ে স্থায়ীভাবে তৈরি এ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনাটি নাশকতা হতে পারে বলে সন্দেহ পাউবোর কর্মকর্তাসহ স্থানীয় অনেকের।

স্থানীয় কৃষকদের বরাতে প্রকৌশলী সৈকত ঘটনাস্থল থেকে জানান, বুধবার গভীর রাতের কোনো এক সময়ে গাগলাজুর বাজারের দুই কিলোমিটার উত্তরদিকে বাঁধটির প্রায় ৬০ মিটার জায়গা ভেঙে গেছে। এ অংশ দিয়ে ডিঙ্গাপোতাসহ আশপাশের হাওরগুলোতে পানি ঢুকছে। খবর পেয়ে সকালেই তারা বাঁধটি দেখতে যান।

নিউজবাংলাকে পাউবোর এ কর্মকর্তা বলেন, ‘৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ চর হাইজদা বাঁধটি নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ। তিন বছর আগেও গাগলাজুর এলাকায় বাঁধটির ৫ কিলোমিটার অংশ খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ব্লক (পাথর ও সিমেন্টের তৈরি) দিয়ে ওই ৫ কিলোমিটার অংশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

‘বাঁধটি খুব মজবুত ছিল। ভেঙে পড়ার মতো কোনো পূর্ব লক্ষণ ছিল না। তাই আমরা মনে করছি, এটি নাশকতার পাঁয়তারা হতে পারে’- যোগ করেন তিনি।

স্থানীয় কৃষকদের অনেকে মনে করছেন, আশপাশের জলমহালে মাছ ঢোকাতে অথবা মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রাতের আঁধারে বাঁধটি কেটে দেয়া হতে পারে। তাই বিষয়টি তদেন্তরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

গাগলাজুর এলাকার কৃষক বুলবুল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাগলাজুরের কয়েকটি ছোটখাটো হাওর ছাড়াও উপজেলার সবচেয়ে বড় ডিঙ্গাপোতা হাওরের ফসলের সুরক্ষা দেয় এ চরহাইজদা বাঁধ। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখন ওই হাওরগুলোতে পানি ঢুকছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব হাওরের বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে গেলেও কিছু ধান এখনো কাটা হয়নি। তাছাড়া হাওরগুলোতে অনেকের খড় ছিল, যা পানিতে ভেসে যাচ্ছে।’

মোহনগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিঙ্গাপোতা হাওরের ফসল রক্ষার জন্য চর হাইজদা বাঁধটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিঙ্গাপোতায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমি আছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেলেও ‘দেরিতে ফলে’ এমন ভ্যারাইটির কিছু ধান এখনও কাটা হয়নি।’

বাঁধ ভেঙে পড়ায় ওই জমিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষকদের দ্রত ধান কেটে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর