ময়মনসিংহের ফুলপুরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আহত শিশুর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
ঢামেকের জরুরি বিভাগে বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
৯ বছর বয়সী শিশুটির নাম মতিউর রহমান। বুধবার সকালে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল সে।
শিশুটির গ্রামের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা গ্রামে। সে ওই গ্রামের ইসহাক মিয়ার একমাত্র সন্তান।
মতিউর ঝিনাইগাতীর আয়নাপুর দারুস সালাম কামিল কওমি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শিশুর চাচা মাহবুবুর রহমান জানান, মতিউরের মা-বাবা গাজীপুরের মাওনা এলাকার একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। এবার সে মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরের মাওনায় ঈদ করতে চেয়েছিল।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী মাদ্রাসা থেকে চাচা মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর একটি মাইক্রোবাসে করে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হয় মতিউর। মাইক্রোবাসটি ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকায় আসামাত্র একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহমুদুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা আরও এক ব্যক্তি নিহত হন।
এ ঘটনায় শিশু মতিউর ও মাইক্রোবাসের চালক গুরুতর আহত হন।
মাহবুবুর আরও বলেন, ‘আমার ভাতিজাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।