ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
বুধবার রাতে ফরিদপুরে সালথা উপজেলার যদুনন্দী এলাকার কাইয়ুম মোল্যা ও রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম নান্নু ফকির। তার বয়স ৬৫ বছর। তিনি সালথার যদুনন্দী গ্রামের বাসিন্দা।
সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামের বাসিন্দা ও বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের বামনকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাইয়ুম মোল্যার সঙ্গে রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দুই/তিন দিন আগে কাইয়ুম মোল্যার সমর্থক মনির রুপাপাত বাজারে গেলে চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার সমর্থকরা মারধর করে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে বুধবার বিকেলে যদুনন্দী গ্রামের বাসিন্দা বামনকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী রুপাপাত বাজারে গেলে মারধর করা হয়।
এ খবর পেয়ে কাইয়ুম মোল্যা ক্ষিপ্ত তার সমর্থকদের নিয়ে রুপাপাত বাজারের দিকে এগুতে থাকে। এ দিকে চেয়ারম্যানের সমর্থকেরাও কাইয়ুম মোল্যার সমর্থকদের প্রতিহত করতে গেলেযদুনন্দী বাজার ও রুপাপাত বাজারের কুমার নদের ওপর নির্মিত সেতুর ওপর সংঘর্ষ হয়।
এ সময় দুপক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত নান্নু ফকিরকে গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কাইয়ুম মোল্যা ও চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ইটের আঘাতে নান্নু ফকির নামে একজন নিহতের খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’