বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করে মালিকের কাছেই বিক্রি

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ২১:৩২

পুলিশ জানায়, রাজধানীতে বিভিন্ন মডেলের গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করত একটি চক্র। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও জিপের যন্ত্রাংশ চুরি করে কেনাবেচা করত।

রাজধানীতে টার্গেট করে আগে অর্ডার নিয়ে দামি গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করত একটি চক্র। যে যন্ত্রাংশের চাহিদা আছে কিন্তু মার্কেটে নেই, সেই গাড়ি লক্ষ্য করে চুরি করত তারা। যন্ত্রাংশ চুরি করে দোকানে বিক্রি করা হতো। সেই যন্ত্রাংশ উচ্চ দামে গাড়ির মালিকের কাছেই বিক্রি করা হতো পরে।

চক্রটি গাড়ির সাইড লুকিং মিরর, মিরর কাভার, গ্লাসের বিট, গ্লাসের কর্নার বিটসহ দরজার বিট চুরি করত। দুই থেকে তিন মিনিটে গাড়ির দামি যন্ত্রাংশ খুলে চুরি করে নিয়ে যেত চক্রটি। এই চোর চক্রের সঙ্গে রাজধানীতে গাড়ির যন্ত্রাংশ দোকান মালিকরা জড়িত।

এসব অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন ও ভাটারা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. এনামুল মোল্লা, মো. এনামুল হক ওরফে এনাম, মো. বকুল চৌধুরী, শরিফ আহম্মেদ ওরফে কালু, বিল্লাল হোসেন, মো. ইকবাল হোসেন ওরফে পলাশ ও মো. ইকবাল খান।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন চোরাই যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।

বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি জানান, রাজধানীতে বিভিন্ন মডেলের গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করত একটি চক্র। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও জিপের যন্ত্রাংশ চুরি করে কেনাবেচা করত। এ চক্রের মূলহোতা মো. এনামুল মোল্লা নিজে চুরি না করলেও তার অধীনে বেশ কয়েকজন ছিলেন, যারা চুরির সঙ্গে যুক্ত। চুরির পর এসব যন্ত্রাংশ রাজধানীর পল্টন স্কাউট মার্কেট, মহাখালী জেবা টাওয়ার, বারিধারা জে-বকুসহ একাধিক মার্কেটে পাওয়া যেত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে কার প্লাস মার্কেটের কালু, বিল্লাল, স্কাউট মার্কেটের চুন্নু, পলাশ, বারিধারার ইকবাল, মহাখালী জেবা মার্কেটের নাহিদ, পরান, মামুন ও ধোলাই খালের সানালদের কাছে বিক্রি করতেন। গ্রেপ্তার আসামি ও পলাতক আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ কেনাবেচা করে আসছেন। গ্রেপ্তারদের নামে আগেও চোরাই যন্ত্রাংশ কেনাবেচার মামলা রয়েছে। তারা গত ৭-৮ বছর ধরে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত।

অনেক ক্ষেত্রে তারা যে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করত, দোকানদার সেই যন্ত্রাংশ আবারও উচ্চ দামে ওই গাড়ির মালিকের কাছেই বিক্রি করত। কারণ অনেক গাড়ির নতুন যন্ত্রাংশ মার্কেটে আলাদাভাবে আমদানি করা হয় না অথবা কিনতেও পাওয়া যায় না। যন্ত্রাংশ চুরির পর তা দোকানে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দিত চক্রটি।

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে সাতটি এমন দোকানের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো পল্টন স্কাউট মার্কেটে দুইটি দোকান, মহাখালী জেবা টাওয়ারে তিনটি, ধোলাইখালে একটি ও বারিধারা জে-ব্লকে একটি।

এ বিভাগের আরো খবর