হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালত চত্বরেই বাদী ও আসামিরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন মাদারীপুরের একটি বিচারিক আদালতে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে সংঘাতে জড়িতদের নিয়ন্ত্রণ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে তিনি বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ইকবাল দর্জি বিজয়ী হন। একই পদে আব্দুল আলিম দর্জি পরাজিত হলে নির্বাচনের পর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে গত ৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ঝিকরহাটি এলাকায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আলিম দর্জি তার লোকজন নিয়ে বিজয়ী ইকবাল দর্জির সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একাধিক বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত আটজন। তাদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ইদ্রিস দর্জির ছেলে কাওসার দর্জি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওসি আরও জানান, ওই ঘটনার দিনই নিহত কাওসারের চাচা মোস্তফা দর্জি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৩৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হওয়ায় বুধবার মাদারীপুর আদালতে হাজির হন ১৮ আসামি। শুনানি শেষে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমাইল হোসেন ১৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বাদী ও আসামিপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আদালত চত্বরেই সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এতে উভয় পক্ষের আহত হন অন্তত পাঁচজন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আদালতের কোনো কক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। যা হয়েছে তা সবই আদালতে বাইরে ঘটেছে। তবে এমন ঘটনাও আমরা আশা করি না। এ ব্যাপারে সবাইকে আরও সংযত হতে হবে।’