বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্যাসের দাম বাড়লে আরও বাড়বে পণ্যমূল্য: ক্যাব

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:২০

এমনিতেই করোনা মহামারিতে আমরা ভোক্তারা নিষ্পেষিত। এই মুহূর্তে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কোনোভাবেই কাম্য নয়। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেলে সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ এখনই বন্ধ করা দরকার বলে মনে করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব)। তারা বলছে, এখন বাজারে আগুন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, পানির মূল্য বৃদ্ধি পাবে, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও আরও চড়া হয়ে যাবে। এতে বিশাল সংকটের মধ্যে পড়বে দেশ।

বুধবার ক্যাব-এর উদ্যোগে ‘ন্যায্যতা উপেক্ষা করে গ্যাস বাণিজ্য কার স্বার্থে’ শীর্ষক একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ভোক্তা সুরক্ষা এ কাজ করা এ সংগঠনটি মনে করে, গ্যাসের দাম এক শতাংশ বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে।

তারা বলছে, জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অতিষ্ঠ, সে সময় জ্বালানি তেল, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হবে আগুনে ঘি ঢালার সমান।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সঞ্চালনা করেন ক্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এম শামসুল আলম।

গোলাম রহমান বলেন, ‘আমার ধারণা, যদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা না আসে তাহলে ঈদের পর পরই হয়তো বিইআরসি গ্যাসের মূল্য বাড়িয়ে দিতে পারে। যদি এ ধরনের আদেশ হয়, তাহলে এখন যে আগুন জ্বলছে সেটা দাবানলে পরিণত হবে।

‘যৌক্তিকতা বিচার না করেই একটি আদেশ দিয়ে দেয়া হলে সেটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং তা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তিনটি কূপ খনন করলে একটিতে গ্যাস পাওয়া যায়। অর্থাৎ এখানের পটেনশিয়ালিটি অনেক বেশি। আমরা এই শক্তিকে কেন ব্যবহার করছি না। এর সদুত্তর সরকারের কর্তাব্যক্তিরা দিতে পারে না। আমাদের কাছে এটিকে গোলকধাঁধা মনে হয়।

‘সমুদ্র থেকে আমাদের পাশের দেশ ভারত, মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন করছে। আমরা সমুদ্র জয় করলাম, কিন্তু সমুদ্রের যে সম্পদ তা আহরণ করে জনগণের সেবায় ব্যবহারের যে প্রচেষ্টা, তা আমরা তা দেখছি না। ’

গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা যদি ১০ বছর আগে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করতাম, তাহলে আজ স্পট মার্কেট থেকে আমাদের গ্যাস কিনতে হতো না। তাই যারা কর্তাব্যক্তি আছেন, তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দেশের গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নেবেন।’

মূল প্রবন্ধে এম শামসুল আলম বলেন, গত ২১ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে কোনো প্রস্তাব ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রমাণ করতে পারেনি। এর পরও ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আদেশ হবে। বিইআরসিতে সেই প্রস্তুতি চলছে। বরাবরের মতো মূল্যবৃদ্ধির আদেশে গণশুনানি প্রহসনে পরিণত হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, গ্যাস সরবারহ এবং উৎপাদনে বাংলাদেশ একটি মাত্র পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কারণে সেটি অকেজো বা সমস্যা হলে কী হবে তা কল্পনা করা যায় না। শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে সমস্যা হলে সারা দেশেই গ্যাস সংকট দেখা দেবে।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া বলেন, এমনিতেই করোনা মহামারিতে আমরা ভোক্তারা নিষ্পেষিত। এই মুহূর্তে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কোনোভাবেই কাম্য নয়। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেলে সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি রোধে ভূমিকা নেবেন।

এ বিভাগের আরো খবর