গাড়ির চাপ বেশি থাকলে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ওয়ান ওয়েতে (একমুখী) শুধু উত্তরবঙ্গগামী যান চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
তিনি বলেন, ঢাকাগামী যানবাহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গায় ঢুকবে।
নিউজবাংলাকে বুধবার দেয়া একান্ত সাক্ষৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এই অংশ যানজটের কারণে প্রতি বছর ভোগান্তির মুখে পড়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ। তবে করোনা মহামারির কারণে গেল দুই বছরের চিত্র ছিল আলাদা। এবার ঈদে আবারও আগের রূপ ফেরার শঙ্কা করা হচ্ছে। সেই শঙ্কা মাথায় রেখে সড়ক ব্যবস্থাপনার দিকে বাড়তি নজর রেখেছে পুলিশ।
এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো চার লেন সড়ক দিয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত পৌঁছায়। তবে এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেন। চার লেনের যানবাহন দুই লেন সড়কে ঢোকার সময় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এবার এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোল প্লাজার কাছে গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার একমুখী (ওয়ানওয়ে) করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে এই সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলবে।
আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, যাত্রাপথে পেট্রোল পাম্প ও রেস্তোরাঁর টয়লেট ব্যবহারে যাত্রীরা যেন কোনো বাধার মুখে না পড়ে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের পাশে পাম্প, রেস্তোরাঁ নেই। তাই ওই অংশে ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইফতার ও সেহরিতে যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়া মানুষের মাঝে পানি, শুকনা খাবার সরবরাহের জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।