বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রখর রোদে কুলতলী গ্রামে ডেনমার্কের রাজকুমারী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:২৫

ডেনিশ রাজকুমারীর তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিনটি সুন্দরবন অঞ্চল ঘুরে দেখার জন্য পূর্বনির্ধারিত ছিল। এদিন সকালে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকার ধানখালীতে নির্মিত হেলিপ্যাডে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেন এলিজাবেথ।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রাম। সুন্দরবনসংলগ্ন এ গ্রামটিতেই বুধবার দুপুরের দিকে গিয়ে হাজির হন ডেনমার্কের রাজকুমারী ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন।

এ সময় প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই উপকূলবর্তী ও জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা ওই গ্রামের পথ ধরে হেঁটে বেড়ান তিনি। জলবায়ু নিয়ে কথা বলেন গ্রামবাসীর সঙ্গে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কুলতলী গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে এবং কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেন রাজকুমারী।

স্থানীয় বহুমুখী একটি সাইক্লোন শেল্টার ও বেড়িবাঁধও পরিদর্শন করেন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাইক্লোন শেল্টার কীভাবে ব্যবহার হয় সে সম্পর্কে ধারণা নেন। আর বেড়িবাঁধের পাশে অবস্থান করা বাসিন্দারা কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং কী ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন সেসব বিষয় জানার চেষ্টা করেন।

পরে স্থানীয় বর্ষা রিসোর্টে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সুন্দরবন দেখতে যান ডেনিশ রাজকুমারী এলিজাবেথ। সেখানে তিনি বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। হেঁটে হেঁটে সুন্দরবন দেখার সময় তিনি এই বনের জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এই বনের ভূমিকা, লবণাক্ত পানির প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা নেন।

জানা গেছে, ডেনিশ রাজকুমারীর তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিনটি সুন্দরবন অঞ্চল ঘুরে দেখার জন্য পূর্ব নির্ধারিত ছিল। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ সুন্দরবন প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি পিযূষ বাউলিয়া পিন্টু জানান, বুধবার সকালে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকার ধানখালীতে নির্মিত হেলিপ্যাডে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেন এলিজাবেথ। সেখান থেকেই কুলতলী গ্রামে গিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজকুমারীর সফর সম্পন্ন হচ্ছে। তার নিরাপত্তায় এসএসএফ ছাড়াও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও ভূমিকা রেখেছে। তার ভ্রমণকে নির্বিঘ্ন করতে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর