সাপে কাটা দিনমজুরকে নেয়া হলো কবিরাজের বাড়ি। ৩ ঘণ্টা চেষ্টা করলেন তিনি। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকলে দিনমজুরকে নেয়া হলো হাসপাতালে। তখন আর তাকে বাঁচানো যায়নি।
এ ঘটনা কুষ্টিয়ার কুমারখালীর। সাপের কামড়ে মারা যাওয়া দিনমজুরের নাম মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।
মতিয়ারের চাচাতো ভাই জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মতিয়ার পাশের বাড়ির হায়দার আলীর পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। তখন তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। প্রতিবেশীরা ও তার স্বজনরা তাকে নিয়ে যায় স্থানীয় কবিরাজ সুমন হোসেনের বাড়িতে।’
কবিরাজ সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে আমার কাছে মতিয়ারকে আনা হয়েছিল। দেখে মনে হলো সাপে কামড়েছে। তবে কী সাপ বুঝতে পারিনি। পরিবারের কথায় কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেছি, কিন্তু তার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। পরে হাসপাতালে নেয়া হয়।’
নদন্দনালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন জানান, মতিয়ারকে সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সাপে কাটলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। সাপ চিনতে পারলে চিকিৎসা সহজ হয়। না চিনতে পারলেও হাসপাতালে আনলে রোগীর আলামত দেখে বুঝে চিকিৎসা দিতে হয়।
‘বিষ শরীরে ঢুকে গেলে চিকিৎসায় দেরি করা উচিত নয়। তাই ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।’