বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ: রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা মকবুল কারাগারে

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৪২

যে দোকান থেকে মারামারির সূত্রপাত, সেটির মালিকানা আছে মকবুলের। তবে তিনি সেটি চালান না। তার চাচাতো ভাইকে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। বিএনপির আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, এখন জীবিত নেই, এমন কয়েকজনকেও আসামি করেছে পুলিশ।

রাজধানীর নিউ মার্কেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগের মামলায় বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম ইশরাত জাহান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রিমান্ড শেষে মকবুল হোসেনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউ মার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর।

মকবুল হোসেনের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন জামিন আবেদন করেন। তিনি বৃহস্পতিবার শুনানির অনুরোধ করেন।

মকবুল হোসেন অসুস্থ জানিয়ে তার চিকিৎসার আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার নির্দেশ দেয়।

নিউ মার্কেট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সাফায়েত হোসেন এসব তথ্য জানান।

গত ২৩ এপ্রিল মকবুল হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক। তার আগের দিন বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। মৃত্যু হয় দুইজনের। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।

ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়া নিহতের ঘটনায় বাবা নাদিম হোসেন এবং মুরসালিনের ভাই হত্যা মামলা করেছেন।

এ ঘটনায় পুলিশও দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলায় নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এসব মামলায় মকবুলসহ বিএনপির বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে উসকানির অভিযোগ। যে দোকান থেকে মারামারির সূত্রপাত, সেটির মালিকানা আছে মকবুলের। তবে তিনি সেটি চালান না। তার চাচাতো ভাইকে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।

বিএনপির আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, এখন জীবিত নেই, এমন কয়েকজনকেও আসামি করেছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর