নির্মাণের ১০ বছরেও সংস্কার হয়নি বরগুনা সদরের আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের আয়লা-চান্দখালি আঞ্চলিক সড়কটি।
সংস্কারের অভাবে সড়কের পিচ উঠে গিয়ে বেড়িয়েছে ইটের সুড়কি। তাই গর্ত ও খানাখন্দে ভরা সড়কটি এখন ধুলোর রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এতে যাত্রী-চালক ও পথচারিরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। একই সঙ্গে সড়কের পাশের বাসিন্দারা ধুলোয় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের মাঝমাঝি সময়ে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপরাশেন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ১১ কোটি ৪৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে বরগুনা-আয়লা-চান্দখালি (জিসি) সড়কটি নির্মাণ করা হয়। ১৫. ৯ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। নির্মাণের পর সড়কটি একবারও সংষ্কার হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা সদরে যাতায়াতের বিকল্প না থাকায় সুড়কি ওঠা এ সড়ক দিয়েই বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রী ও পথচারীদের। এ ছাড়া ইটবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আয়লা কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এবং আয়লা ও কদমতলা বাজারের ব্যবসায়ীদেরও সড়কটি ব্যবহার করতে হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, তিনবছর ধরেই গর্ত ও খানাখন্দে ভরা এ সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় সড়কের পিচ উঠে সুড়কি বের হয়ে গোটা এলাকা ধুলোয় ঢেকে গেছে।
আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা মিন্টু হাওলাদার বলেন, ‘সড়কটি বেশ আগেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্ত বাধ্য হয়ে ভোগান্তি সহ্য করে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কটির বেশীরভাগ অংশে পিচের লেশমাত্র নেই। বর্ষাকালে সড়ক ব্যবহারের আর কোনো উপায় থাকবে না।
‘আমরা স্থানীয়রা অনেকবার এলজিইডিতে ধর্না দিয়েছি কিন্ত কোনো কাজ হয়নি। মানুষের ভোগান্তি কমাতে সড়কটি সংষ্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
বরগুনা-আয়লা রুটের পিকআপচালক মো. রফিক মিয়া বলেন, ‘এ রাস্তায় গাড়ি চালাতে গেলে গাড়ির কোনো না কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ১৫ কিলোমিটার পথ যেতে আধঘণ্টার বেশি সময় লাগে। মাঝে মাঝে গর্তে আটকে থাকে গাড়ি। এ ছাড়া অতিরিক্ত ধুলোতে যাত্রী ও আমাদের পোশাক হলুদ রঙের হয়ে যায়।’
আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সংসদ সদস্য মহোদয়ের ডিও লেটারসহ সদর উপজেলা প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা সড়ক সংস্কারের বরাদ্দ চেয়ে প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়েছেন।
‘যতদূর জানি এখনও কোনো সাড়া মেলেনি। সড়কটি ঠিক করা না হলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে। সড়কটিতে এখন পথচারীদের হাঁটার মতো অবস্থা নেই।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বরগুনা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জি মুঠোফোনে জানান, সড়কটি দ্রুত সংস্কারে প্রাক্কলন তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে।