বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হজ ফ্লাইট ৩১ মে থেকে

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৫৭

বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘হাজিরা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে এ জন্য আমরা বসে এ সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের এ কাজগুলো করতে হবে। হাব সভাপতি বলছিলেন, আমরা আগের বছরগুলোতে নয় মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার সময় মাত্র ১ মাস।’

এ বছর হজ ফ্লাইট শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩১ মে ঠিক করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। আর ফ্লাইটের সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

সচিবালয়ে হজ সংক্রান্তে একটি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, এ বছর ডেডিকেটেড ৭৫টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩১ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে বিমান।

তবে এই ভাড়াকে অনেক বেশি মনে করে তা কমানোর দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন- হাব।

সভায় বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘হাজিরা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে এ জন্য আমরা বসে এ সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের এ কাজগুলো করতে হবে। হাব সভাপতি বলছিলেন, আমরা আগের বছরগুলোতে নয় মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার সময় মাত্র ১ মাস।

‘৩১ মে প্রথম ফ্লাইট হবে এ ধারণা থেকে আমরা আলোচনায় বসেছি। এর মধ্যেই যাতে সব কাজ শেষ করতে পারি এ জন্য সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের ডেডিকেটেড ফ্লাইট থাকবে ৭৫টি। আমাদের বহরের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ বোয়িং ট্রিপল সেভেন, আমরা ডেডিকেটেড ফ্লাইট হিসেবে নেব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০১৯ থেকে আমরা সৌদি সরকারের সাথে অনেকগুলো প্রাগমেটিক স্টেপ আমরা নিয়েছি। বিশেষ করে বাংলাদেশে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন শেষ করা। আমি সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, তারা এখানে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।

‘আশা করি এ বছর আরও সহযোগিতা বাড়াবেন। আমাদের দিক থেকে যত প্রস্তুতি প্রয়োজন আমরা অল্প সময়ে এগুলো নেব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুটি ট্রিপল সেভেল উড়োজাহাজ দিয়ে ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করব। এর আগের বছর আমরা ৪টি উড়োজাহাজ দিয়ে করেছি। ফ্লাইট ৩১ মে থেকে আমরা আপাতত শুরু করবো বলে ধারণা করছি। সৌদি কর্তৃপক্ষ যেহেতু স্লট দেবে, তাই এটা তাদের অনুমতির উপর নির্ভর করছে।’

করোনার কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাহিরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি। প্রতি বছর সাধারণত ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ হজ পালনের অনুমতি পান। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে সৌদি সরকার এবার বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজে যাওয়ার অনুমতি দেবে। ফলে বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মানুষ হজে যেতে পারবেন।

যদিও বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।

বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘আপনারা জানেন জ্বালানি তেলের দাম দ্বিগুনের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সব বিবেচনায় নিয়ে আমরা দেখেছি ভাড়া দেড় লাখ টাকা আসে। কিন্তু হাজি সাহেবদের কথা বিবেচনায় রেখে এটিকে অ্যাফোর্টেবল রাখতে এবং সবার সাথে যাতে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য আমরা এটা ঠিক করেছি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সৌদি এয়ারলাইনসও একই ভাড়া রাখবে।’

ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া যাত্রী পাঠাবে না হাব

বিমান মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হজ ফ্লাইটের ভাড়া আরও কমানো যেতো বলে মনে করছে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব। সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তাসলিম বলেন, ‘ভাড়ার যে যৌক্তিকতা আমরা এখানে উপস্থাপন করেছিলাম। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও দিয়েছি।

‘দুটি এয়ারলাইনস বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইনস, তাদের জুন মাসের যে প্রদর্শিত ভাড়া সেটা আমরা উপস্থাপন করেছি। সেটা গড় করলে এখন ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ ভাড়া কমানো যায়। বিভিন্ন সময় যখনই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে বরাবরই ফুয়েলের কথাটাই বলা হয়। এ বছর ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে আগেও ভাড়া যখন বেড়েছে এটার কথা বলেই হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের প্রস্তাব ছিল আরও কমানো এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়েরও প্রস্তাব ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আমরা মনে করি ভাড়া আরও কমা উচিত। এটি একটি যৌক্তিক পর্যায়ে থাকা উচিত। আমরা হজ যাত্রীদের নিবন্ধন করেছি কোভিডের আগে, তখন তাদের একটি প্রাইজ দিয়েছি, সেখানে যে দাম দিয়েছি এখন কিন্তু সেটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

‘সৌদি এন্ড থেকেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ এন্ড থেকে প্রয়োজন ছিল, যেহেতু বিমানও আমাদের যাত্রীরাও আমাদের, ভাড়া কমানো যেত। আমি বলব এটা একটু রিভিউ করেন।’

এ বছর ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া কোনো সিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পাঠানো হবে না বলে জানান হাব সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘আমরা আরেকটি বিষয় জানিয়েছি, এই ভাড়া নেয়া হয় ডেডিকেটেড ফ্লাইটের জন্য কিন্তু হজ যাত্রীদের নেয়া হয় বেশিরভাগই শিডিউল ফ্লাইটে, অন্য যাত্রীদের সাথে। ২০১৯ সালে মোট ৩৬৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে, এর মধ্য ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে মাত্র ১৪৯টি। অথচ ভাড়া নেয়া হয়েছে ডেডিকেটেড ফ্লাইটের। এটা যাতে না হয়।

‘এবছর একটি সিডিউল ফ্লাইটেও কোনো হজ যাত্রী হাব পাঠাবে না। ডেডিকেটেড ফ্লাইট হলেই কেবল বাংলাদেশি যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এখানে করা সম্ভব হবে। না হলে এটা সম্ভব হবে না। বিষয়টি আমি বিবেচনার জন্য বলব।’

এ বিভাগের আরো খবর