বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কিভাবে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাব সে সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তাতে বিদেশিদের সমর্থন আছে, দেশেও সমর্থন আছে।’
চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়িতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানপ্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ মনস্থির করে ফেলেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বর্তমান ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার পক্ষে জনমত স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু ফয়সালা হবে রাজপথে। সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সম্প্রতি দুটি সার্ভে রিপোর্ট পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। একটি সার্ভে হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নির্বাচনের পর যে জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন সেটার পক্ষে কারা আর বিপক্ষে কারা। একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক চ্যানেলের এই জরিপে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ বলেছেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই সঠিক।
‘আরেকটি সার্ভে করেছে ইকোনমিস্ট পত্রিকা। আমরা যে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছি, সেটার পক্ষে কারা আছে সেটা নিয়ে সার্ভে হয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছে তারা নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের পক্ষে। সুতরাং জনমত তৈরি হয়ে গেছে।’
ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। এই সরকারের অধীনে এখন সবকিছু ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রণহীন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লালদীঘির ময়দানে বলেছিলেন- দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও। তেমনিভাবে সুদূর লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একই ডাক- টেইক ব্যাক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশিদ, সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজিব রঞ্জন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবুল হাসেম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলামসহ বিশ দলীয় জোট, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক, গুম-খুনের শিকার হওয়া পরিবার, পঙ্গুত্ববরণকারী নেতাকর্মী এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।