বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ছেলে-মেয়ে নিয়ে দালানে থাকমু স্বপ্নেও ভাবিনি’

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৩৬

আফরোজা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী দুই সন্তান নিয়ে শেষ জীবনের হলেও একটু স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। রমজানে ঈদুল ফিতরের পূর্ব মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমি দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন এবং দেশের আরও অনেক উন্নতি করতে পারেন।’

‘ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোনোদিন দালানে থাকমু স্বপ্নেও ভাবিনি। মোগো প্রধানমন্ত্রী যে ঘর দিছে, তা পাইয়ে আমি খুব খুশি হইছি বাবা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহারের ঘর পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন আফরোজা বেগম।

বেগম বাগেরহাট সদরের খানপুর ইউনিয়নে বাসিন্দা ৬০ বছরের এই নারী। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান তিনি। চাচা ও প্রতিবেশীর বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন।

দারিদ্রতার সঙ্গে লড়তে থাকা আফরোজাকে একসময় গ্রামের লোকজন মিলে বিয়ে দিয়ে দেন স্থানীয় শাহাজান মীরের সঙ্গে।

শাহাজান পেশায় ভ্যানচালক। থাকেন সরকারি খাল পাড়ে। সেই খালপাড়ে ভ্যানচালক স্বামীর সংসারেই দিনে এনে দিন খেয়ে চলে জীবন। এক সময় আফরোজার সংসারে জন্ম নেয় চার সন্তান। তাদের মধ্যে দুজন প্রতিবন্ধী।

সন্তানদের নিয়ে এই দম্পতি বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে জমিসহ পাকা ঘরের মালিক হয়েছেন আফরোজা। আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে নতুন ঘরের দলিল ও খতিয়ান।

আফরোজা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী দুই সন্তান নিয়ে শেষ জীবনের হলেও একটু স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। রমজানে ঈদুল ফিতরের আগ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমি দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন এবং দেশের আরও অনেক উন্নতি করতে পারেন।’

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরেই বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলায় ৬৬২টি নতুন ঘরের চাবি ও জমির দলিল গৃহহীনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন ঘোষণার পর পর জেলার সব উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপকারভোগীদের ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন।’

ইউএনও বলেন, ‘বাগেরহাট জেলার নয় উপজেলার মধ্যে মোড়েলগঞ্জে ১৮১, মোংলায় ১৪৫, ফকিরহাটে ৮০, বাগেরহাট সদরে ৭০, মোল্লাহাটে ৭০, রামপালে ৬০, চিতলমারীতে ২৮, কচুয়ায় ২৩ ও শরণখোলা উপজেলায় পাঁচজন গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার এ বাড়ি পেয়েছেন। এর মধ্যে বাগেরহাটে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৭৮টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়।

‘তৃতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৯২টি ঘরের নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেলেও নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ৬৬২টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৪২৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হলে হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে তৃতীয় পর্যায়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৩৩ হাজার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুই শতক জমিসহ দুইকক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর পেয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর