নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শিশু তাসকিয়া হত্যা মামলার আরেক আসামি জোবায়ের বিন নিজামকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
উপজেলার ফুলতলা গ্রাম থেকে সোমবার রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।
জোবায়েরের বাড়ি উপজেলার ১৪ নম্বর হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে।
এসপি জানান, তাসকিয়া হত্যা মামলার আসামি মামুন উদ্দিন রিমন আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জোবায়েরের সম্পৃক্ততার কথা জানান। হত্যার সময় জোবায়ের কিরিচ হাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়।
যা ঘটেছিল
পুলিশ জানায়, পূর্ব হাজীপুর গ্রামের খোরশেদ আলম দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মো. বাদশার কাছে তার কৃষিজমির মাটি বিক্রি করেন। চুক্তি অনুযায়ী ৬ ফুট মাটি কেটে নেয়ার কথা। তবে বাদশা এর চেয়ে বেশি মাটি কাটতে চাইলে খোরশেদের ভাই ফিরোজ আলম বাধা দেন।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা হয়। এতে অংশ নেন তাসকিয়ার বাবা আবু জাহের। তবে প্রথম দফার আলোচনা ভেস্তে যায়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফিরোজের বাড়িতে বৈঠক চলাকালে রিমনের নেতৃত্বে সেখানে ককটেল হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
পরদিন ফিরোজ থানায় অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে অভিযুক্ত কাউকে না পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ চলে আসে।
এই থানায় যাওয়ার কারণে ১০ তারিখ আবার ফিরোজের বাড়িতে হামলা হয়। তখন ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানায় ফিরোজের মেয়ে শেফালি। এরপর আবারও ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে ব্যর্থ হয়।
অভিযোগ ওঠে, তাসকিয়ার বাবা আবু জাহেরের কারণে ওই বৈঠকগুলো কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ হয়। তখন সন্ত্রাসীরা জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে গত ১৩ এপ্রিল তার ওপর হামলা চালায়।
হামলার ঘটনার সময় বাবার কোলে ছিল ৪ বছরের তাসকিয়া। সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারায় সে। হামলায় চোখ হারান তার বাবা।