বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁধ কাটায় আ.লীগ নেতাসহ ১৭ জনের নামে মামলা

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৪১

পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, ‘সরকারি বাঁধ কেটে দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকতের নির্দেশে মামলা করেছি। মামলায় লোকমান হেকিম, তার ব্যবসার অংশীদার রেজাউল করিমসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।’

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে জলমহালে মাছ ঢোকাতে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোণার উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক মঙ্গলবার বিকেলে খালিয়াজুরী থানায় মামলাটি করেন।

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রধান অভিযুক্ত লোকমান হেকিম ওই উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ে পরাজিত হন তিনি।

জগন্নাথপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমান, আইনুল হক, নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক জানান, পেটনা এলাকায় লোকমান হেকিমের একটি জলমহাল রয়েছে। এটি তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন। জলমহালটি মরাধনু নদীর পাশে অবস্থিত।

ওই জলমহালে যাতে নদীর মাছ ঢুকতে পারে, সে জন্য তিনি সোমবার রাত ১০টার দিকে লোকজন নিয়ে বাঁধটির একটি অংশ কেটে দেন। এতে পেটনাসহ আশপাশের কয়েকটি হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে রাত থেকেই।

উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে রাতেই বাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু হয়। বাঁধটি রক্ষায় এগিয়ে আসেন স্থানীয়রাও।

পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি বাঁধ কেটে দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকতের নির্দেশে মামলা করেছি। মামলায় লোকমান হেকিম, তার ব্যবসার অংশীদার রেজাউল করিমসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

‘বাঁধটি কেটে দেয়ায় বাঁধ ও ফসলের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।’ যোগ করেন তিনি।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘বাঁধটি গত বছরের পুরোনো। কিন্তু মজবুত ছিল। মরা ধনু নদীর পাশের বাঁধ এটি। জলমহালে মাছ ঢোকাতে গিয়ে লোকমান হেকিম ও তার লোকেরা বাঁধটি কেটে ফেলেছে। খবর পেয়ে আমরা সেটি মেরামত করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর