রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বরিশাল মহানগর বিএনপি।
নগরীর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সকালে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান দলটির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, ‘রাজধানীর নিউ মার্কেটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যে অস্ত্র হাতে মানুষ কুপিয়েছে, তার ভিডিও থাকার পরও অন্যায়ভাবে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে বিএনপি নেতাদের আটক করা হচ্ছে। অবিলম্বে তার মুক্তি চাই।’
নিজেদের ইমেজ ক্লিন রাখতে সরকার এমনটা করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) চরম বোকামি করছে। কেননা দেশের মানুষ জানে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে কি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। কারা নাহিদকে হত্যা করেছে।’
‘ছাত্রলীগ যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সেটা গণমাধ্যমেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। নতুন করে নাটক সাজানোর দরকার নেই। বিএনপিকে অপবাদ দিয়ে লাভ হবে না। কারণ, সরকারের চেহারা পরিষ্কার সবার কাছে।’ যোগ করেন তিনি।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলী হায়দার বাবুল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া প্রমূখ।
পুলিশের ‘বাধায়’ সমাবেশ দলীয় কার্যালয়েই
একই দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ মহানগর বিএনপি নেতাদের। পরে দলীয় কার্যালয়ের ভিতরেই সমাবেশ করে দলটি।
নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার দুপুরে একটি মিছিল বের করে মহানগর বিএনপি। মিছিলটি প্রধান ফটকের সামনে আসতেই পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় দলটির নেতা-কর্মীদের।
পুলিশের দাবি, সমাবেশের জন্য অনুমতি নেয়া ছিল না দলটির। তাই তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আমরা এই বিক্ষোভ করি। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে আমরা দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করি।’
এসময় গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন বলেন, ‘সরকার বিএনপি নেতাদের হয়রানি করছে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত। তারাই সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের সমাবেশের জন্য অনুমতি নেয়া ছিল না। এজন্য তাদের সরে যেতে বলেছি, বাধা নয়।’