বেশি ফলন হওয়ায় আলু নিয়ে পরিকল্পনা ঠিক করতে গিয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার নেপালের বিদ্যুৎ, পানি ও কৃষিমন্ত্রী পম্পা ভুসালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আলুর দাম না পেয়ে রাস্তায় ফেলে কৃষকদের প্রতিবাদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে কী হয়? এখন দেখেন পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। আলুরও একই অবস্থা। গত বছর দাম বেশি ছিল এবছর আবার এ অবস্থা। উৎপাদন একটু বেশি হলে চাষিরা বিক্রি করতে পারেন না। এখনতো ইচ্ছা করলে আলুর দাম কিছুতেই বাড়াতে পারছি না।
‘আমাদের কোনো উপায় নেই। এই মুহূর্তে আলুর খুবই সীমিত রপ্তানি। আলু উৎপাদন হয়ও অনেক দেশে। ইউরোপীয়ান দেশগুলোও ওই রকম আলু আমদানি করে না। রাশিয়া করতো এখন সেখানে যুদ্ধ। তারা আলু আমদানি ওপেন করেছে কিন্তু ব্যাংকিং সিস্টেম নেই। এখন যুদ্ধের জন্য রপ্তানি সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কিভাবে চাষিদের আমরা আলুর দাম নিয়ে সহযোগিতা করব। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো শেষ নেই। মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলুর রপ্তানি বাড়ানো ও এগ্রো প্রসেসিং করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। যেমন পেপসি কোম্পানির লেইস চিপস বিদেশ থেকে আসে। তারা সেটা বাংলাদেশে করবে।
‘বোম্বে সুইটসসহ অন্যান্যরা আলুসহ অন্যান্য প্রোডাক্ট এগ্রো প্রসেস করছে। একটু সময় লাগবে। ইনশাল্লাহ আলুর ব্যাপক ব্যবহারও হবে। আলুর মার্কেটিং অনেক সহজ হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে দুইটি দেশ রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় কিছু রপ্তানি হতো। শ্রীলঙ্কার অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ঠিক করেছিলাম রপ্তানি করব। এখন রপ্তানি করলে তারা পেমেন্ট করতে পারবে না। আর রাশিয়ায় যুদ্ধের কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।
‘না হলে রাশিয়া বাংলাদেশের আলুর ওপর যে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছিল সেটা তারা উঠিয়ে নিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের জন্য সম্ভব হচ্ছে না।’