বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিউ মার্কেটে অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে ব্যবসায়ীরা: মালিক

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৫৫

অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় ২৩ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করেছেন মালিক সুজন। এতে দেড় শ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর চালানোর ঘটনার জন্য ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন রোগী বহনকারী যানবাহনটির মালিক মো. সুজন।

অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহকারীর বরাতে মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে নিউজবাংলার কাছে এ দাবি করেন তিনি।

সুজন জানান, সায়েন্সল্যাবে আসার পর ছাত্ররা অ্যাম্বুলেন্স দেখে ঢাকা কলেজের সামনে দিয়ে নিউ মার্কেটের দিকে যেতে দেন। তবে নূরজাহান মার্কেট পার হয়ে হকার্স মার্কেটের সামনে যাওয়ার পরই ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে ধরেন।

তিনি জানান, চারপাশ থেকে ভাঙচুর চালানো হয়। ভেতরে রোগী আছে দেখেও ভাঙচুর থামাননি তারা। এতে রোগীসহ সবাই আহত হন।

অ্যাম্বুলেন্স মালিক সুজন বলেন, ‘ছাত্ররা অ্যাম্বুলেন্স আটকাননি। তারা রাস্তা খালি করে যেতে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যে পাশে অবস্থান করছিলেন, সেখানে যাওয়ার পরই ভাঙচুর চালানো হয়।’এই ভাঙচুরের কারণে অ্যাম্বুলেন্সটির অন্তত চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ভাঙচুরের শিকার হওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়া আরও চারটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে সুজনের।

গত ১৮ এপ্রিল রাতে নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীরা। পরদিন দিনভর সংঘর্ষ হয়। এ সময় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে একজন অপারেশনের রোগীকে পরীক্ষা করানোর জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা শেষে একই অ্যাম্বুলেন্সে চাঁদপুরের মতলবে যাওয়ার কথা ছিল রোগীর। সায়েন্সল্যাব থেকে কাঁটাবন সিগন্যাল বা শাহবাগ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে যাওয়ার সড়কে প্রচণ্ড যানজট থাকায় নীলক্ষেত মোড় হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে যাওয়ার চেষ্টা করেন চালক।

সায়েন্সল্যাব আসার পর ঢাকা কলেজের ছাত্ররা অ্যাম্বুলেন্স এগিয়ে যেতে সহায়তা করেন। সড়কে থাকা ছাত্রদের সরিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দেয়া হয়। ছাত্রদের যেখানে অবস্থান ছিল তা পেরিয়ে ব্যবসায়ীদের অবস্থান নেয়া এলাকায় পৌঁছানোর পরই অ্যাম্বুলেন্সটি হামলার শিকার হয়।

অ্যাম্বুলেন্সটির মালিক সুজন বলেন, ‘গাড়ির চারপাশ থেকে ভাঙচুর করছে। কোনো গ্লাস তারা আর আস্ত রাখে নাই। গাড়ির বডিও ভাঙচুর করছে। চার লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হইছে। রোগীসহ ভেতরে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে বাড়িতে পাঠাইছি।’

অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় ২৩ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করেছেন সুজন। এতে দেড় শ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মুহাম্মদ তারিকুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। কারা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছিল তাদের শনাক্তের কাজ চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর