কুমিল্লায় লালমাই পাহাড়ে নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছ র্যাব।
রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে সোমবার মধ্যরাতে স্বামী ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব- ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানিয়েছেন চুরি ও জুয়া খেলাই ছিল তার নেশা। চুরি করলে ও জুয়া খেললে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলায় স্ত্রীকে ফারজানাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করেন তিনি।
সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তফাপুরের পাহাড়ের নিচ থেকে রোববার সকাল ৯টার দিকে হাত বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর ফারজানা আক্তারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওইদিন ইকবালকে প্রধান আসামিকে করে ৭ জনের নামে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ফারজানার বাবা।
পরে র্যাব সোমবার কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মোক্তার হোসেন, কাজী মো. আঃ হাকিম, আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের সবার বাড়ি অলিপুর (উত্তর কাছার)। এদিন মধ্য রাতে আরেকটি অভিযানে সায়েদাবাদ থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব- ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল স্বীকার করেছে, চুরি ও জুয়া খেলা তার নেশা। সম্প্রতি একটি অটোরিকশা চুরির ঘটনায় তাকে জেলে পাঠায় পুলিশ।
ইকবাল স্ত্রী ফারজানাকে তার জামিন করানোর জন্য বলেন। কিন্তু ফারজানা এতে ব্যর্থ হয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। পরে অন্যদের সহায়তায় জামিনে জেল থেকে বের হয়ে ইকবাল ফারজানার কাছে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার কারণ জানতে চান। ফারজানা তখন তাকে চুরি করলে ও জুয়া খেললে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান।’
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এরপরই ইকবাল ফারজানাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার ৭ মাস বয়সী মেয়েকে ঈদের জামা কিনে দেবেন বলে বাবার বাড়ি থেকে কৌশলে ফারজানাকে সঙ্গে নিয়ে বের হন। জনমানবহীন এক রাস্তায় নিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে ফারজানাকে হত্যা করেন।’
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বলেন, ‘ইকবালকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে বিকেলের মধ্যে আদালতে তোলা হবে।’